জ্যোতিষশাস্ত্র

রাখে হরি তো মারে কে, প্রবল সংকট থেকে রক্ষা পেতে স্মরণ করুন শ্রীকৃষ্ণের

দুষ্টকে শায়েস্তা করতে বারবার এই ধরাধামে অবতীর্ণ হন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নানারূপে। অধর্মীদের শাস্তি দিলেও ধর্মপ্রাণ মানুষের দিকে তার সাহায্যের হাত থাকে সবসময়ই। তা সে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ কালে তার ইজ্জত রক্ষা করাই হোক না কেন আবার গোবর্ধন পর্বত তুলে গ্রামবাসীকে বাঁচানোই হোক না কেন। এই গোবর্ধন পর্বত তোলা নিয়ে মথুরা-বৃন্দাবনের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয় ‘গোবর্ধন উৎসব’।

পুরান মতে, দীপাবলীর পরেরদিন শ্রীকৃষ্ণ তার আঙ্গুলের ডগায় তুলে ধরেছিলেন গোবর্ধন পর্বতকে। বৃন্দাবন বাসী প্রতিবছর ভালো বৃষ্টির আশায় যাতে ভালো ফসল হয় সেই কারণে ইন্দ্রের পুজো করতেন। কিন্তু ইন্দ্রের পুজো ছিল খরচসাপেক্ষ তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই পুজোর বিরোধী ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইন্দ্রের পুজো বাবদ যা খরচ হয় তাতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের খাওয়ানো যায়। বৃন্দাবনবাসী এই কথা শোনার পর কথার গুরুত্ব বুঝে ইন্দ্রের পুজো বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এই পুজো বন্ধ হওয়ার ফলে ভগবান ইন্দ্র অতীব রেগে যান এবং সারা বৃন্দাবন তার কোপের শিকার হয়। আর তারই ফলে বৃন্দাবনে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় যা পুরো গ্রামকে বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এমত অবস্থায়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার কনিষ্ঠাঙ্গুলি দিয়ে গোবর্ধন পর্বত কে সম্পূর্ণভাবে তুলে নেন এবং পর্বতের তলায় বৃন্দাবনবাসী ও সমস্ত গবাদিপশুকে আশ্রয় দেন।

আজ যখন পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী অংশ ভয়ঙ্কর সুপার সাইক্লোন আমফান এর প্রভাবে পুরো বিধ্বস্ত এমত অবস্থায় ঈশ্বরই সহায়। উপকূলবর্তী বহু এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। প্রকৃতির এই তাণ্ডবলীলার কাছে মানুষ সত্যিই খেলার পুতুল। সেদিনের সেই বৃন্দাবনে বাঁশি দের মত আজ উপকূলবর্তী বাসীরা সংকটের মুখে যা থেকে একমাত্র স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণই সহায়ক হয়ে উদ্ধার করতে পারেন।

প্রতিবেদনটি লিখেছেন – অন্তরা ঘোষ

Related Articles

Back to top button