সুইজারল্যান্ড ঘুরে আসবেন নাকি এই শীতে? কাছের সিনেমাহলেই যান তাহলে!
সুইজারল্যান্ড! নামটাই আমাদের কাছে স্বপ্নের মত। বরফে ঢাকা এই দেশে বলিউডের সিনেমার শুটিং দেখে ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা বাঙালি এখন টলিউডেও প্রাণভরে দেখতে পায় আল্পস পর্বতমালার দেশকে। রোমান্সের আরেক নাম সুইজারল্যান্ড। আমরা সকলেই স্বপ্ন দেখি জীবনে একবার হলেও সুইজারল্যান্ডে যাব। কিন্তু বাস্তবে সেই স্বপ্ন সবার পূরণ হয়না। ঠিক এই একই স্বপ্ন দেখেছিল শিবু আর রুমি। তাদের স্বপ্ন কি সত্যি হলো? জানতে হলে আপনাকে দেখতে হবে আপনার কাছের সিনেমা হলে চলা সুইজারল্যান্ড সিনেমাটি।
সৌভিক কুন্ডুর পরিচালনায় এই প্রথমবার এই সিনেমাতে জুটি বেঁধেছেন আবীর চট্টোপাধ্যায় ও রুক্মিণী মৈত্র। ঠিক কী রয়েছে এই সুইজারল্যান্ড সিনেমার গল্পতে? বেলডাঙ্গার মুদির ছেলে শিবু সাহা(আবীর) এখন সেলসের চাকরি নিয়ে কলকাতায় থাকে। তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে চন্দননগরের বনেদি পরিবারের বড় হয়ে ওঠা মেয়ে রুমি(রুক্মিণী) যে নিজে একটি স্কুলে চাকরি করে। আদ্যোপান্ত এই মধ্যবিত্ত পরিবারের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
সিনেমাতে এটাই দেখানো হয়েছে যারা সিমলা ঘুরতে যাওয়ার জন্য দশবার ভাবে তারা সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার টাকা জোগাড়ের জন্য এক বছর কীভাবে সংসার চালাচ্ছে এবং সেই কাজ করতে গিয়ে তাদের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে। শেষমেষ কি শিবু আর রুমি তাদের দুই বাচ্চাকে নিয়ে সুইজারল্যান্ড যেতে পারবে সেটা জানতে গেলে আপনাদেরকে এই সিনেমাটি একবার দেখতেই হবে।
গতকাল অ্যাক্রপলিস মলে এই সিনেমার বিকালের শো ছিল পুরো হাউসফুল। সেখানেই এসেছিলেন আবীর-রুক্মিণী। কথা হল আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে।
পোস্ট কোভিড সিচুয়েশনে এই ফ্যামিলি ফিল্ম দেখতে দর্শকদের ভালোই লাগবে। তিনি এইধরনের চরিত্র আরো করতে চান যেখানে ওভার-ইন্টেলেকচুয়াল কোনো ব্যাপার নেই। যার সঙ্গে বাঙালি দর্শকরা খুব একাত্ম বোধ করতে পারবেন। এমনটাই আমাদের জানালেন আবীর।
আর রুক্মিণী কী বললেন?
“দেখো, আমার নিজের জীবনের সঙ্গে এই চরিত্রের কিন্তু আদৌ কোনো মিল নেই কিন্তু কোথাও গিয়ে আমি এই চরিত্রের সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পেয়েছি কারণ আমরা ভেতরে ভেতরে সবাই এরকমই বিভিন্ন স্বপ্ন দেখি। এই সিনেমাটার সঙ্গে মানুষ অনেক বেশি রিলেট করতে পারছেন তাই এই সিনেমা উইকডেজেও কিন্তু হাউসফুল হচ্ছে। পোস্ট কোভিড সিচুয়েশনে এটা একটা ভালো দিক। আমরা এতো ভালো রিভিউজ পাচ্ছি। আমার চরিত্র রুমিকে মানুষ অত্যন্ত পছন্দ করেছেন তার জন্য সকলকে অনেক ধন্যবাদ।”
তাই বুঝতেই পারছেন আমার আপনার সাধারণ জীবনের গল্প সুচারুভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন আবীর-রুক্মিণী। তাই আর দেরি করছেন কেন?এই সপ্তাহেই ঘুরে আসুন সুইজারল্যান্ড!