‘মুনমুন-কন্যা রিয়া নিজে আমাকে বলেছে ওর মায়ের সঙ্গে আমার ভীষণ মিল রয়েছে’, অভিনয় থেকে ব্যক্তিজীবন নিয়ে খোলাখুলি ঋ
টলি হোক টেলি, সব জায়গাতেই তাঁর উপস্থিতি ভীষণভাবে নজর কাড়ে। একদিকে অভিনেত্রীরা যখন প্রাণপণে চান নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করতে, অন্যদিকে, তখন ঋ সেন জানালেন যে খলনায়িকার চরিত্রই তাঁর বেশি পছন্দের। কারণ এই ধরণের চরিত্রে বেশ গা জ্বালানো হাসি হাসা যায়। দারুণ সব সংলাপ থাকে। এর জেরে চরিত্র যেন আরও জোরালো হয়ে ওঠে। বর্তমানে জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘উড়ন তুবড়ি’তে সৎ মায়ের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে ঋ-কে।
এই বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমে ঋ জানান, “নায়িকা হলাম না খলনায়িকা তাই নিয়ে মাথাই ঘামাই না। জানি, দিনের শেষে কী পর্দায় কী ব্যক্তি জীবনে নায়িকা আমিই”। কিছুদিন আগেই আবার জি বাংলার ‘দিদি নম্বর ১’-এ এসে ঋ বলেছিলেন যে তিনি যে ধরণের চরিত্র করেন, তাতে নাকি অভিনেত্রী মুনমুন সেনের অঙ্গভঙ্গি তিনি বেশ সহজেই মিশিয়ে দিতে পারেন। আর এর ফলে সেই চরিত্র আরও বেশি জীবন্ত হয়ে ওঠে।
ঋ-এর মতে, তাঁর অনুরাগীরাও নাকি তাঁর কথাবার্তার ভঙ্গিতে, হাসিতে, চুলের স্টাইলে, শাড়ির আঁচল সামলানোর কায়দায় বেশ খানিকটা মুনমুন সেনের ছায়া দেখেন। এই বিষয়ে ঋ-এর বক্তব্য, “আমার দাঁতের পাটি সুচিত্রা সেনের মতো সাজানো! ভঙ্গিতে মুনমুন সেনের আদল। এ কথা মুনমুন-কন্যা রিয়া নিজে জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘ঋ, তোমার সঙ্গে আমার মায়ের কী ভীষণ মিল’”।
তবে ঋ এও দাবী করেন যে তিনি সচেতন হয়ে এসব কিচুজে করেন তা নয়। কিছু অভিনেত্রীকে খুঁটিয়ে লক্ষ্য করতে গিয়ে তাদের কিছু অঙ্গভঙ্গি তাঁর মধ্যেও চলে এসেছে বলে দাবী ঋ-এর। আর সেটাই যখন ক্যামেরায় ধরা পড়ে, তখন দর্শকরাও বেশ উপভোগ করেন।
ইন্ডাস্ট্রিতে এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে যে ঋ-এর জীবনে প্রেম এসেছে। এই বিষয়ে খোলাখুলি জবাব না দিলেও, ঋ বলেন, “ব্যাপারটা খুব সদ্য সদ্য ঘটেছে তো! এক্ষুণি বলার মতো কিছুই ঘটেনি। আরও একটু সময় যাক। সম্পর্ক পোক্ত হোক। তখন সবাইকে জানাব। তবে একান্ত ভাবে চাইছি, সম্পর্কের যেন ইতিবাচক পরিণতিই হয়”।