হিমেশ রেশমিয়ার কথায় রেগে গিয়ে, তাঁকে চড় মারতে যান আশা ভোঁসলে, কিন্তু কেন?
হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে আশা ভোঁসলে সম্পর্ক যে খারাপ, তা বলা যায় না। দুজনকে অনেক সময়ই একসঙ্গে মঞ্চে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, হিমেশ রেশমিয়া জি টিভির সা রে গা মা পা-এর বিচারক থাকাকালীন আশা ভোঁসলে অতিথি হয়ে এসেছেন। কিন্তু হিমেশ কী এমন বলেছিলেন যে আশাজি তাঁর উপর এতটাই রেগে যান যে তিনি তাঁকে চড় মারতে উদ্যত হন?
আসলে, পেশাগত জীবনের শুরুর দিকে নাকে নাকে গান গাওয়ার জন্য বেশ বিদ্রূপ সহ্য করতে হয় হিমেশকে। একের পর এক হিট গান দিলেও তাঁর এই নাকি সুরে গান গাওয়ার জন্য বেশ অস্বস্তি প্রকাশ করতেন তাঁর শ্রোতারা।
আরও পড়ুন- এবার সীতার ভূমিকায় দেখা যাবে করিনাকে! ছবির জন্য বেবোর পারিশ্রমিক শুনলে চমকে উঠবেন
এরপর এই সমস্ত কটাক্ষ প্রতিহত করতে ২০০৬ সালে হিমেশ এক মন্তব্য করে বসেন। যার জেরে তাঁকে আরও বেশি কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। তিনি কিংবদন্তী সঙ্গীত পরিচালক আর ডি বর্মণের সঙ্গে নিজের তুলনা টেনে আনেন। বলেন যে, আর ডি বর্মণও তাঁর মতোই কিছুটা নাকে নাকেই গান করতেন। কিন্তু তাঁকে কখনও কোনও কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি। তাহলে তিনি কেন?
হিমেশের এই কথা শুনেই প্রচণ্ড রেগে যান আশা ভোঁসলে। বেজায় অসন্তুষ্ট হন তিনি। এক সংবাদমাধ্যমকে নিজের ক্ষোভ উগড়ে তিনি বলেন, “কেউ যদি বলেন বর্মণ সাহেব নাক দিয়ে গাইতেন, তাঁকে চড় মারা উচিত”।
তবে, আশাজির এই কথা শুনে পরবর্তীকালে নিজের ভুল শুধরে নেন হিমেশ। এই কথার সাফাই দিয়ে তিনি বলেন, “আমি পঞ্চমদাকে কখনওই অপমান করতে চাইনি। আমি লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল এবং পঞ্চমদার থেকেই গান তৈরি করতে শিখেছি। আমি কী ভাবে ওঁকে অপমান করতে পারি”?
আরও পড়ুন- বরের জন্মদিনে তাঁকে আদরে, উপহারে ভরিয়ে দিলেন তৃণা, কী কী উপহার পেলেন নীল, দেখে নিন
এমনকি, এই বিতর্ক শেষ করতে আশা ভোঁসলের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন হিমেশ। আরও বলেন যে, বর্ষীয়ান গায়িকার ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না।