‘সুদীপার বুড়ো বয়সে ন্যাকামি দেখতে ইচ্ছা করছে না’, ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ রচনার বদলে সুদীপাকে মানতে নারাজ দর্শক, উঠল অনুষ্ঠান বয়কটের ডাকও

বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো হল জি বাংলার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। বিগত ১০ বছর ধরে এই শো-এর সঞ্চালনার ভার সামলাচ্ছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কারণেই এই শো এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাঁকে ছাড়া যেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ অসম্পূর্ণ।
তবে কিছুদিন আগেই বাবাকে হারিয়েছেন রচনা। গত ১৬ই অক্টোবর আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রচনার বাবা রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের। এই শোক কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে রচনার। এই কারণে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন অভিনেত্রী। বর্তমানে তাঁর জায়গায় এই শো-এর সঞ্চালনার ভার সামলাচ্ছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায় ও সৌরভ দাস।
কিন্তু বাধ সাধল খোদ দর্শকই। আসলে দর্শক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে এমনই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে যে তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে যেন মেনে নিতেই পারছেন না তারা। এই কারণে নতুন সঞ্চালক ও সঞ্চালিকা সৌরভ ও সুদীপাকে এই শো-তে দেখতে নারাজ দর্শক। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌরভ ও সুদীপাকে নিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেই ভিডিওতে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে দর্শক।
ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে এক নেটিজেন লেখেন, “সুদীপার বুড়ো বয়সে ন্যাকামি আর দেখতে ইচ্ছা করছে না। তার থেকে যতদিন না রচনা ব্যানার্জি আসছেন, কতদিন অনুষ্ঠান বন্ধ করে রাখা হোক”।
আবার অন্য একজন নেটিজেন লেখেন, “সুদীপাকে রাঁধুনি হিসাবে মানায়, তাঁকে মানায় না কোন সঞ্চালিকার দায়িত্বে”। আবার কেউ লিখেছেন, “সঞ্চালিকা পরিবর্তন করবেন না, অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে”।
বলে রাখি, বাবার প্রয়াণের বিধ্বস্ত অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে। সেই ছবিতে তিনি লেখেন, “ভাবতে পারিনি একা হয়ে যাব। ভাবিনি তুমি চলে যাবে, আর আমাকে একা থাকতে হবে। তুমি ভালো থাকো বাপি। তোমার আশীর্বাদ তোমার সঙ্গে আছে, আমি জানি”।