“তারুণ্যে ভরা একজন মানুষ হঠাৎ আত্মহত্যা করতে পারে না”, সুশান্ত মৃত্যু নিয়ে ফের সরব কঙ্গনা

“একজন জোয়ান মানুষ যে সম্পূর্ণ তারুণ্যে ভরা সে আচমকা একদিন সকালে আত্মহত্যা করতে পারে না।” সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে ফের আসরে নামলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।
গত সপ্তাহে এইমসের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে সুশান্ত সিং রাজপুতের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়নি কিন্তু খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। শনিবার এইমসের এই স্পেশাল ফরেনসিক টীম জানিয়ে দেয় যে, সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন, সেখানে কোনো রকম খুনের তত্ত্ব নিয়ে আসা ঠিক নয়। সুশান্তের দেহে কোনও রকম আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক সুধীর গুপ্তা।
স্বাভাবিকভাবেই এই রিপোর্টে খুশি হতে পারেনি সুশান্তের অনুরাগীরা। তাদের বক্তব্য এই রিপোর্ট বিকৃত করা হয়েছে। তবে এইমসের এই স্পেশাল টীমকে সুশান্তের ভিসেরা পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছিল সিবিআই স্বয়ং। তাই তারা যখন এই রিপোর্ট দেয় তখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই বিষয়টিকে আর খুনের তকমা দিতে পারবে না বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
তবে কঙ্গনা প্রত্যাশিতভাবেই মুখ খুলবেন এ ব্যাপারে তা মোটামুটি সকলেরই জানা ছিল। সকলের সন্দেহকে সত্যি করে তিনি টুইট করেন, একজন তারুণ্যে ভরপুর মানুষ সকালে উঠে নিজেকে শেষ করে দিতে পারে না কোন কারণ ছাড়া। সুশান্ত তো বলেছিলেন যে মুভি মাফিয়ারা ওকে নিষিদ্ধ করেছে এবং জীবনের আশঙ্কা ছিল। ওর বিরুদ্ধে ফেক রেপ চার্জ গঠন করা হয়েছিল।”
সেই সঙ্গে আরও কিছু প্রশ্ন তুলেছেন কঙ্গনা।
১) SSR বারবার বলেছিলেন বড় প্রযোজনা সংস্থা তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ওর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। এই চক্রান্তকারীরা কারা?
২) কেন সংবাদমাধ্যমে তাকে রেপিস্ট বলা হয়েছিল?
৩) মহেশ ভাট কেন সুশান্তের সাইকো অ্যানালিসিস করেছিলেন?
যদিও কঙ্গনার এই প্রশ্ন এখন হালে পানি পাচ্ছে না। নিন্দুকেরা অনেকেই বলছেন, কঙ্গনা অনেক চেষ্টা করেছিলেন ঘটনাটিকে অন্য মোড় দিয়ে নিজে ফুটেজ নেওয়ার জন্য। তবে এইমস রিপোর্ট দিয়ে দেওয়ায় তার পরিকল্পনায় সম্ভবত জল পড়ে গিয়েছে তাই এখন তিনি অন্য পন্থা অবলম্বন করছেন। তবে সুশান্ত অনুরাগীদের বক্তব্য একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যেখানে আগের সপ্তাহ এই জানা গেল যে এইমস মনে করছে এটা খুন আবার গতকাল যখন পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে এইমস রিপোর্ট দিল এটা আত্মহত্যা তখন রিপোর্ট বিকৃত করার সম্ভাবনা থাকতে পারে।