‘সিদ্ধার্থ শুক্লার অকালে চলে যাওয়ার পেছনে দায়ী মা রীতা শুক্লা’, KRK’র ভিডিও দেখে রেগে লাল প্রয়াত অভিনেতার ভক্তকুল
হঠাৎ আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সদ্য মারা গিয়েছেন সিদ্ধার্থ শুক্লা। সেই শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি কেউই। গোটা বিনোদন জগৎ থেকে তাঁর আত্মীয়, পরিজন-সহ ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধব এমনকি তাঁর অনুরাগীরা এখনও মর্মাহত এই খবর শোনার পর থেকেই।
পাশাপাশি অভিনেতার মৃত্যুর কারণ হিসেবে তাঁর পোস্টমর্টেম রিপোর্টেও কোনো অস্বাভাবিক কিছুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি তাঁর দেহে কোন ক্ষত বা কিছু নেই। অভিনেতার পরিবারের থেকেও জানানো হয়েছে, তাঁর মৃত্যু কোনো অস্বাভাবিক কারণে ঘটে নি। কিন্তু কোনোভাবেই সিদ্ধার্থ শুক্লার এভাবে হঠাৎ করে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছে না তাঁর ভক্তকুল-সহ কাছের সকল মানুষজন।
এরই মধ্যে তাঁকে ঘিরে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন চলচ্চিত্র সমালোচক কমল রশিদ খান ওরফে কে আর কে। সমস্ত বিষয় নিয়েই তাঁর মন্তব্য করা চাই। সব সময়তেই এরকম মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন চলচ্চিত্র সমালোচক কমল রশিদ খান। বিতর্কিত মন্তব্য করা তাঁর জন্মগত অধিকার। মনগড়া নানান যুক্তি দিয়ে এবার সিদ্ধার্র শুক্লার সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। সকলেই জানেন সিদ্ধার্থ শুক্লা তাঁর মা রীতা শুক্লার কতটা কাছের ছিলেন! এই বয়সে এসে ছেলের এভাবে চলে যাওয়ায় কার্যত ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।
কিন্তু এবারে সিদ্ধার্থ শুক্লার সেই বৃদ্ধ মাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কে আর কে। তাঁর দাবি ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী তাঁর মাই। যুক্তি সাজিয়ে তিনি বলেছেন, ছেলের মৃত্যুতে একবারের জন্যও শোক প্রকাশ করতে দেখা যায়নি মা রীতা শুক্লাকে। তিনি দাবি করেছেন খুব কাছের বন্ধুদের অনুরোধ সত্বেও, শেষবারের জন্য অভিনতার মরদেহ তাঁদেরকে দেখতে দেওয়া হয়নি।
এরই সঙ্গে সিদ্ধার্থ শুক্লার মার গোটা বিষয় নিয়ে শান্ত থাকার কারণেও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কে আর কে’র দাবি, সিদ্ধার্থ শুক্লার মা রীতা শুক্লা আধ্যাত্বিকতায় বিশ্বাস করেন, তাই কোনভাবে তাঁর কোনো কাজের জন্য সিদ্ধার্থের মৃত্যু ঘটতে পারে। এরকমই নানা যুক্তি খাড়া করে সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পরোক্ষভাবে দোষী সাব্যস্ত করেছেন সিদ্ধার্থ শুক্লার মাকে।
যেখানে অকালে নিজের ছেলেকে হারিয়ে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মা রীতা শুক্লা, সেখানে সেই বৃদ্ধা মাকে দোষী সাব্যস্ত করছেন কে আর কে। তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্যে বেজায় চটে গিয়েছেন অনেকেই। এমনকি সিদ্ধার্থ শুক্লার অনুরাগীরা কে আর কের এই মনগড়া কথাতে আওয়াজ তুলেছেন।