‘অনেক তাবড় তাবড় অভিনেতারা থাকা সত্ত্বেও নুসরত-সোহম মহানায়ক পুরস্কার পায়, রাজ্যে স্বার্থনীতিই চলছে এখন’, বিস্ফোরক মানসী সিনহা

বাংলায় এখন রাজনীতি হয় না, যেটা হয় সেটা হল স্বার্থনীতি। এভাবেই রাজ্য সরকার ও নেত্রীকে দাগলেন অভিনেত্রী মানসী সিনহা। কারণ? সোহম চক্রবর্তী ও নুসরত জাহানের ‘মহানায়ক’’সম্মান পাওয়া। মানসী সিনহার কথায়, অনেক তাবড় তাবড় অভিনেতা থাকা সত্ত্বেও সোহম-নুসরত কীভাবে এই সম্মানে ভূষিত হলেন, তা বেশ বোঝাই যাচ্ছে।
গত মাসেই রাজ্য সরকারের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল ‘বঙ্গ সম্মান’। এই অনুষ্ঠানেই সোহম চক্রবর্তী ও নুসরত জাহানকে ‘মহানায়ক’ সম্মানে ভূষিত করে রাজ্য। বাংলা সিনেমার জগতে তাদের অবদান ও বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে সমৃদ্ধ করার জন্য তাদের এই সম্মান দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু তাই-ই নয়, এই বঙ্গ সম্মানের মঞ্চ থেকে সোহমকে ‘জাত অভিনেতা’ বলে তাঁর ভূয়সী প্রশংসাও করেন মমতা। বলেন যে সোহম দু’বছর বয়স থেকে অভিনয় করছেন। নুসরতের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ ছিলেন নেত্রী। এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও নানান ট্রোলের শিকার হয়েছেন এই দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী।
বার এই নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী মানসী সিনহা। সোহম ও নুসরত আদৌ কতটা এই ‘মহানায়ক সম্মান’ পাওয়ার যোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে এই ‘বঙ্গ সম্মান’-এর মঞ্চকে আর তিনি পুরস্কারের মঞ্চ বলে মনে করেন না।
নুসরত ও সোহমের নাম নিয়েই তিনি বলেন যে তারা দু’জনেই তাঁর খুব প্রিয়। ভালো অভিনয়ও করেন তারা দু’জন। কিন্তু তাদের থেকেও আরও তাবড় তাবড় অভিনেতারা রয়েছেন। তারা থাকা সত্ত্বেও যখন নুসরত ও সোহমকে পুরস্কার দেওয়া হয়, তখন মঞ্চের উদ্দেশ্যেটা বেশ পরিষ্কার হয়ে যায় সকলের কাছে।
এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতেও বাদ যান নি মানসী। তিনি বলেন যে রাজ্যে এখন আর রাজনীতি হয় না। এখন শুধুই স্বার্থনীতি চলছে গোটা রাজ্যজুড়ে। তিনি এও জানান যে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর ক্ষোভ ছিল না এতদিন। তিনি তাঁকে বড় দিদিই মানতেন। কথা বলতে ভালো লাগত তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তবে এখন থেকে হয়ত সেই ভালো লাগাটা আর থাকবে না বলে স্পষ্ট জানান মানসী সিনহা।