বড় খবরঃ জুন আন্টির দিন শেষ, এবার থেকে বাংলা ধারাবাহিকে আর দেখা মিলবে না খলচরিত্রের, জারি করা হল কড়া নোটিশ

বাংলা হোক হিন্দি, যে কোনও ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তার ভাগ কিন্তু খলচরিত্রদেরও প্রাপ্য। নানান খলচরিত্রের কারণেই ধারাবাহিক যেন আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। তবে এবার এই খলচরিত্র নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।
সরকারের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে এই খলচরিত্রের নানান কার্যকলাপের প্রভাব সমাজেও পড়তে শুরু করেছে। অনেকের মতেই, খলচরিত্রের এই কূটকাচালির জেরে গৃহস্থালিতেও অশান্তি বাড়ছে। নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এবার থেকে ধারাবাহিকে আর কোনও খলচরিত্র দেখানো যাবে না।
গত পয়লা নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের আন্ডার সেক্রেটারি সোনিকা খট্টরের তরফ থেকে এই বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় খলচরিত্রের বিষয়ে বিপরীত কথাই বলা হয়েছে।
বলে রাখি, বেশ কিছুদিন ধরেই এই খলচরিত্র নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান প্রতিবাদ গড়ে তোলা হচ্ছে। নেটিজেনদের একাংশের দাবী, খলচরিত্রের অভিনয় সমাজকে বিপথে চালনা করছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখানে দেখানো হয় কূটকাচালি। দু-তিনটে বিয়ে, খুন, ষড়যন্ত্র মোটেই কাম্য নয়।
সরকারের এই নির্দেশিকা সামনে আসার পরই বেশ চিন্তায় পড়েছেন ধারাবাহিকের পরিচালক ও খলনায়িকারা। আসলে, যে কোনও ধারাবাহিকে পজিটিভ চরিত্রের সঙ্গে সঙ্গে যে কোনও খলচরিত্রও বেশ বড় ভূমিকা পালন করে। খলচরিত্র ছাড়া কী আদৌ ধারাবাহিক সেভাবে জনপ্রিয়তা পাবে? এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে ‘সর্বজয়া’ ধারাবাহিকের খল নায়িকা মৌমিতা গুপ্ত বলেন, “আমাদের জীবনেও অনেক নেগেটিভ চরিত্র থাকে, তাহলে ধারাবাহিকে সমস্যা কি? খল চরিত্র ছাড়া কি ধারাবাহিক চলবে”?
অন্যদিকে আবার জনপ্রিয় ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে অভিনীত উষসী চক্রবর্তীর বক্তব্য, “নেগেটিভ চরিত্রের শেড পরিবর্তন করা যেতেই পারে। কিন্তু তারা ছাড়া গল্পে মসলাই তো থাকবেনা”। অম্বরীশ ভট্টাচার্যের মতো অভিনেতার কথায়, “সরকার যখন নির্দেশ জারি করেছে মেনে নিতে হবেই। মানুষ যদি ভালো দিক দেখে আনন্দ পায় তাহলে তাই হোক”।