নুসরত ও সোহম পেলেন ‘মহানায়ক সম্মান’, ‘দিদি’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ তারকারা, তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়ক হওয়ার জন্যই কী এই পক্ষপাতিত্ব?

আজ, সোমবার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান। এই বছর বিনোদন জগতের একঝাঁক তারকারা এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। বাংলা চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এই বছর বঙ্গভূষণ সম্মান পেলেন অভিনেতা দেব। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এর আগে মহানায়িকা সম্মান পেয়েছিলেন। এই বছর তিনি পেলেন বঙ্গভূষণ সম্মান।
অন্যদিকে পদ্মশ্রী ত্যাগ করেছিলেন তবলাবাদক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়,এদিন তাঁকে বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদান করে রাজ্য সরকার। এছাড়াও বঙ্গবিভূষণ সম্মান পান কুমার শানু, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, দেবশঙ্কর হালদার, দেবজ্যোতি বোস। বঙ্গভূষণ সম্মান পেলেন দেব, ইন্দ্রানী হালদার, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশিকী চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, শ্রীজাত, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন জিৎ, কৌশিকী ও ইমনের গানের ও শ্রীজাতর লেখনীর প্রশংসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পুরস্কার পেয়ে বেশ আপ্লুত কুমার শানু। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এই প্রথম কেউ বাংলা থেকে পুরস্কার দিল। দিদি কাছে কাছে টেনে রাখেন তাই দূরে গিয়েও কাছে চলে আসি”।
তবে এর মধ্যে দু’জন ব্যক্তির সম্মান সকলকে বেশ অবাক করে দিয়েছে। এই বছর মহানায়ক সম্মান পেয়েছেন নুসরত জাহান ও সোহম চক্রবর্তী। বাংলা চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করার জন্য এই সম্মান দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এদিন সোহমের অভিনয়ের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে সোহম ২ বছর বয়স থেকে অভিনয় করছে। তাঁকে ‘জাত অভিনেতা’ বলেন মমতা। নুসরতেরও বেশ প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী এদিন।
তবে সোহম ও নুসরতকে ‘মহানায়ক সম্মান’-এ ভূষিত করা নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনদের মতে, নুসরত অন্তত এই সম্মান পাওয়ার যোগ্য নন। মহানায়ক সম্মান একটা অনেক বড় সম্মান। কিন্তু সেই ধরণের অভিনেত্রী নুসরত একেবারেই নন। নেটিজেনদের মতে, নুসরত ও সোহমের থেকেও অনেক ভালো মানের অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন, তাদের সেই সম্মান না দিয়ে তাদের দুজনকেই কেন এই সম্মান দেওয়া হল? অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়ক হওয়ার কারণেই কী এই পক্ষপাতিত্ব? এই নিয়ে নুসরত ও সোহম তো বটেই, তৃণমূলকেও বেশ কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।