বিনোদন

“সাহস থাকলে আমাদের ঘরে আয়, ধর্ষণ করে দেখা”, প্রতিবাদ সভায় বিস্ফারিত নুসরত

বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই যে ঘটনাটি রাজ্যে বেশ মাথাচাড়া দিয়েছে তা হল, অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত ও সায়নী ঘোষের কিছু মন্তব্যকে ঘিরে তাদের দিকে ধেয়ে আসা কিছু অশালীন মন্তব্য ও ধর্ষণের হুমকি। এই পরিস্থিতিতে কার্যত স্ত্রস্ত গোটা কলাকুশলী মহল। এর প্রতিবাদেই গত সোমবার ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে আয়োজিত হয় একটি প্রতিবাদ সভার, নাম ‘এ কোন সকাল, রাতের চেয়েও অন্ধকার’।

এই প্রতিবাদ মঞ্চে সহকর্মীদের দিকে ধেয়ে আসা এমন হুমকির প্রতিবাদ জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ চক্রবর্তী, মনামী ঘোষ, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, দেবলীনা দত্ত, সায়নী ঘোষ প্রমুখ। এই প্রতিবাদ সভাতে অংশ নেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানও। এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তিনি।

তবে এদিন কোনও সাংসদ হিসেবে নয়, একজন নারী ও অভিনেত্রী হিসেবে এই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নুসরত। মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “এ কোন ভারতবর্ষে বাস করছি আমরা? কীসের সুরক্ষা, কীসের নিরাপত্তা?” তাঁর কথায়, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যের মেয়েরা ধর্ষণের হুমকিকে ভয় পায় না।

এরপর তিনি বলেন, “ধর্ষণের হুমকি আমিও পাই। দম থাকলে আয়, তেপ করে দেখা। আমি বা এই মঞ্চে উপস্থিত কোনও মহিলা এ ধরণের হুমকিতে ভয় পায় না। সাহস থাকলে আমাদের ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করুক। বাংলার বাড়িতে বাড়িতে ঝাঁটা-বঁটি আছে, আমাদের ভয় দেখাতে এলে তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করব”।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে একটি টক শো-তে গিয়ে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন যে, ঈশ্বরের নাম ভালোবেসে নেওয়া উচিত, ‘জয় শ্রী’ রাম’ স্লোগানটি যেন রণধ্বনিতে পরিণত হয়েছে। এরপরই তাঁকে নানাভাবে আক্রমণ করা শুরু হয়। এমনকি তাঁর ২০১৫ সালের একটি টুইটকে ঘিরেও শুরু হয় বিতর্ক। হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এই নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। এরপর অন্য একটি টক শো-তে অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত বলেন যে তিনি নিজে নিরামিষাশী হলেও দুর্গাপুজোর অষ্টমী ও নবমীতে গরুর মাংস রান্না করবেন। এই নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন গরুর মাংস রান্না করার কথা কীভাবে অভিনেত্রী বললেন, এই নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরও হয়েছে। এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করেই এই দুই অভিনেত্রীর দিকে আসতে থাকে ধর্ষণের হুমকি। সেই প্রতিবাদেই তাদের পাশে দাঁড়ান বাংলার কলাকুশলীরা।

Related Articles

Back to top button