ফেরানো হোক কঙ্গনার পদ্মশ্রী সম্মান, টুইট রাষ্ট্রপতিকে, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে উঠল গ্রেফতারির দাবী

১৯৪৭ সালে ‘ভিক্ষের স্বাধীনতা’ পেয়েছিল দেশবাসী,অভিনেত্রী কঙ্গনা রানওয়াতের এমন মন্তব্যের জেরে ক্রমেই বাড়ছে বিতর্ক। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে তাঁকে গ্রেফতার করার দাবীও উঠেছে,। এমনকি, তাঁর পদ্মশ্রী সম্মান যাতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়, এমন দাবীও তুলেছে বিরোধীরা।
গত বুধবার সন্ধ্যায় এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন কঙ্গনা রানওয়াত। আর এরপর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে সরব হ্যেছেব অনেকেই। বিজেপি সাংসদস বরুণ গান্ধী থেকে শুরু করে এনসিপি নেতা নবাব মালিক, অনেকেই অভিনেত্রীর এহেন মন্তব্যের জন্য ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা টুইটারে লিখেছেন, “’অবিলম্বে কঙ্গনাকে দেওয়া পদ্ম সম্মান ফিরিয়ে নেওয়া হোক। এই ধরনের পুরস্কার দেওয়ার আগে মানসিক পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার, যাতে ভবিষ্যতে এইভাবে কেউ দেশ ও দেশের নায়ককে অসম্মান করতে না পারে”। টুইটারে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে ট্যাগও করেছেনও তিনি।
এদিকে আবার আম আদমি পার্টির তরফে মুম্বই পুলিশের কাছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করার আবেদন জানানো হয়েছে। আপ নেত্রী প্রীতি শর্মা মেনন অভিযোগ করেছেন যে কঙ্গনা যে মন্তব্য করেছেন তা রাষ্ট্রবিরোধী ও উস্কানিমূলক। অন্যদিকেম শিব সেনা নেত্রী নীলম গোরহের দাবী, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করা উচিত।
বলে রাখি, পদ্মশ্রী পাওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা রানওয়াত দাবী করেন যে ভারতে আসল স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ সালে। ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা ভিক্ষার স্বাধীনতা। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে বিজেপি সেই সময়কালকে ইঙ্গিত করেই এমন মন্তব্য করেছিলেন অভিনেত্রী যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দেয়।
কঙ্গনার সেই বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও শেয়ার করে তাঁকে আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। তিনি লেখেন, “কখনও মহাত্মা গান্ধীর ত্যাগ ও তপস্যাকে অপমান, কখনও ওঁর হত্যাকারীকে সম্মান। আর এবার শহিদ মঙ্গল পান্ডে থেকে শুরু করে রানি লক্ষ্মীবাঈ, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও আরও অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর বলিদানকে অবজ্ঞা। এটাকে পাগলামি বলব নাকি বিশ্বাসঘাতকতা?”
এমন মন্তব্যের জন্য কঙ্গনাকে আক্রমণ শানান এনসিপি নেতা নবাব মালিকও। নবাবের মন্তব্য, “সম্ভবত উনি (কঙ্গনা) আজকাল অতিরিক্ত মাদক নিচ্ছেন”। আর এবার কঙ্গনাকে গ্রেফতার করার দাবীও উঠল।