বিনোদন

পৌরাণিক গল্পের আশ্রয় নিয়ে দেখানো হচ্ছে বুজরুকি! ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ বন্ধের দাবি জানাল সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার

বিজ্ঞাপন

প্রথমে জি বাংলায় সম্প্রচারিত সিরিয়াল  করুণাময়ী রানী রাসমণি’র মাধ্যমে জনসমাজে ভুয়ো তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের তরফে। আর এবার স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’এর ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ তুলল বেহালার বরিশা’র এই জমিদার বংশ।

বিজ্ঞাপন

টিআরপি তালিকায় প্রথম দিকে নীচে থাকলেও সম্প্রতি তিন নম্বর স্থানে উঠে এসেছে সিরিয়াল। অর্থাৎ দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে সক্ষম হচ্ছে এই সিরিয়াল। আর তখনই সিরিয়ালের মধ্যে দিয়ে বুজরুকি দেখানোর অভিযোগ তোলা হলো এই জমিদার পরিবারের তরফে। তাঁদের সঙ্গে কার্যত একমত দর্শকরাও।

বিজ্ঞাপন

সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের তরফে দাবি করে জানানো হয়েছে, সাধক বামাক্ষ্যাপা ছিলেন রাজা রামমোহন রায়, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও কালীকৃষ্ণ মিত্রের মতই একজন সমাজ সংস্কারক। কালীসাধনার পাশাপাশি তিনি সমাজ থেকে বিভিন্ন রকমের কুসংস্কার, বুজরুকি ও ধর্মের দোহাই দিয়ে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধাচরণ করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- শুট ফ্রম হোম পার্থক্য গড়ল টিআরপি তালিকায়! নামলো খড়কুটো, কী চমক দিল মহাপীঠ তারাপীঠ?

বিজ্ঞাপন

কিন্তু এই সিরিয়ালে বলা গল্প কিছুটা অন্য কথাই বলছে। অতি নাটকীয়তার আড়ালে চাপা পড়ছে আসল তথ্য।‌ জমিদার পরিবার দর্শকমহলের দাবি ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ এ সম্পূর্ণ বিপরীত গল্প দেখানো হচ্ছে। সেখানে জলের তলায় নাগরাজ, দৈত্য ইত্যাদি বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা দেখানো হচ্ছে। যার সঙ্গে বাস্তবিক ঘটনার মিল নেই।

প্রসঙ্গত, সিরিয়ালের ক্ষেত্রে এপিসোড বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে পৌরাণিক গল্পে অতি নাটকীয়তার আশ্রয় নেওয়া হয়‌। আর যার জন্য বিকৃতি হয় তথ্যের। এই একই দোষে দোষী হয়েছে করুণাময়ী রানী রাসমণিও। যেখানে দেখানো একাধিক তথ্য ভুল। এবং যা আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছিলেন সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদের সম্পাদক শ্রী দেবর্ষি রায় চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

মহাপীঠ তারাপীঠ-এর ক্ষেত্রেও তাঁর দাবি  ধারাবাহিকটিকে অতিনাটকীয় করে তুলতে নির্মাতারা ভুত-প্রেত তন্ত্র সাধনা ইত্যাদি মনগড়া কাহিনী ধারাবাহিকের গল্পের সঙ্গে যুক্ত করছেন।

আরও পড়ুন- ফের মসীহা সোনু! ১৬-১৭টি রাজ্যে অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করবেন অভিনেতা, কাজ শুরু সেপ্টেম্বরেই

সেই সঙ্গে এই ধরনের উল্টোপাল্টা তথ্য দেখিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো থেকে পরিচালকদের বিরত থাকতে বলেছেন তিনি। ‌তাঁর দাবি সাধক বামাক্ষ্যাপা বিশাল প্রাচীন যুগের ব্যক্তিত্ব নন। তিনি রাজা রামমোহন রায়ের‌ই সমকালীন। তাই দৈত্য এসে মন্দির ভেঙে দিচ্ছে,  জলের তলায় নাগরাজ দেখা যাচ্ছে এমন অতিরঞ্জক জিনিস না দেখানোই উচিত।

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading