‘সা রে গা মা পা’-র চ্যাম্পিয়ন অর্কদীপকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে, এবার মুখ খুললেন প্রতিযোগী সমদীপ্তা
গত রবিবার ছিল জি বাংলার ‘সা রে গা মা পা’-র ফাইনাল রাউন্ড। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন অর্কদীপ। কিন্তু দর্শকের মতে, সঠিক বিচার হয়নি। তাদের দাবী বিচারকরা টাকা খেয়ে তাঁকে জিতিয়েছেন। এই কারণে দর্শকের থেকে বিচারকদের শুনতে হয়েছে নানান কুরুচিকর মন্তব্য।
এর আগে এই বিষয় নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন ইমন, রূপঙ্কর, জয় সরকার, লোপামুদ্রা ছাড়াও আরও অনেকেই। এমনকি, এই বিষয় নিয়ে দর্শকদের সামনে এসে কথা বলেছেন খোদ অর্কদীপও। তব এবার তাঁর হয়ে ফেসবুকে মুখ খুললেন সমদীপ্তা। পাশে দাঁড়ালেন অর্কদীপের।
আরও পড়ুন- নিন্দুকদের যোগ্য জবাব! লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরে সকলকে তাক লাগাল গুনগুন, হতবাক সৌজন্য
দক্ষিণ কলকাতার এক ছোট জায়গায় থাকেন সমদীপ্তা। সঙ্গে থাকেন মা–বাবা। এখান থেকেই মেয়েটির গান ফেসবুকের মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তা এতটাই ভাইরাল হয়ে যায় যে সেই গান চোখে পড়ে লতা মঙ্গেশকরেরও। গান গাওয়ার পাশাপাশি ছবি আঁকতেও ভালোবাসেন সমদীপ্তা।
লতা মঙ্গেশকারের একটি বিখ্যাত গান গেয়ে ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’–তে শুধুমাত্র সরগমের উপর ভিত্তি করে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন সমদীপ্ত। সেই সময় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্ব তাঁকে এই বিষয়টি নিয়ে উপহাস করেছিল। তাঁকে এও শুনতে হয়, তিনি নাকি এ বিষয়টির জন্য টাকা খাইয়েছেন।
আরও পড়ুন- দাদু নিয়ে এল ডিভোর্সের কাগজ, সই করল সিড, তাহলে কী শেষমেশ উচ্ছেবাবুর থেকে আলাদা হয়ে গেল মিঠাই?
ফলত, যাকে স্বয়ং লতা মঙ্গেশকর পর্যন্ত টুইট করেছেন, যার গানের এত প্রশংসা তিনি করেছেন, সেই মুহূর্তে এই ধরণের কিছু মন্তব্যের জন্য তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তটাও নষ্ট হয়ে যায়। সেই মুহূর্তে সমদীপ্তা ভেবেছিলেন, এমনটা না হলেই বোধ হয় ভালো হত।
আজ সেই একই সন্ধিক্ষণে এসে উপস্থিত অর্কদীপও। সেও হয়ত ভাবছে, সে বিজয়ী না হলেই বোধ হয় ভালো হত। সমদীপ্তার কথায়, অর্কদীপ তো নিজে বলেনি যে সে জয়ী হতে চায়। তাহলে তাঁকে নিয়ে এত প্রশ্ন কেন উঠবে। সমদীপ্তা বলেন, সাধারণ মানুষের বলার অধিকার অবশ্য়ই রয়েছে, সকলের বাক স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু এইভাবে বলাটা কী সত্যিই উচিত? ফেসবুক লাইভে এসে এই প্রশ্নই করেন সমদীপ্তা।