‘আমাকে মা বলে ডেকো’, শোয়েব আখতারকে বলেছিলন লতা মঙ্গেশকর, কোকিলকণ্ঠীর প্রয়াণে শোকে বিহ্বল পাক ক্রিকেটার

রবিবাসরীয় সকালে আসে এক বড় দুঃসংবাদ। সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। তাঁর মৃত্যুতে গোটা দেশে নেমে আসে শোকের ছায়া। বিগত ২৭ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর গত রবিবার লড়াই থেমে যায় কিংবদন্তি গায়িকার।
কোকিলকণ্ঠীর প্রয়াণে দেশের মানুষ, তারকারা তো বটেই, ভারতের বাইরের মানুষও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানের মানুষ থেকে শুরু করে ক্রিকেটার। মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, সকলে কিংবদন্তি গায়িকার প্রয়াণে শোক বার্তা পাঠান। এবার সুর সম্রাজ্ঞীর সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের স্মৃতি মনে করলেন পাক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার।
তিনি জানান ২০১৬ সালে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। সে বছর তিনি শেষবার ভারতে কমেন্ট্রি করতে আসেন। সেই সময় প্রোডাকশনের একজনের সাহায্যে নিজের অনেকদিনের ইচ্ছা পূর্ণ করতে পেরেছিলেন শোয়েব। ফোনে কথা বলেন লতাজির সঙ্গে।
সম্প্রতি সেই স্মৃতিতেই ডুবলেন শোয়েব। তিনি জানান সেদিন কথোপকথনের শুরুতেই লতাজি তাঁকে মা বলে ডাকতে বলেছিলেন। শোয়েব জানান, লতাজি এও বলেন যে তিনি শচীনের বনাম শোয়েবের লড়াই দেখতে খুব ভালোবাসেন। ক্রিকেট খেলা তাঁর পছন্দের ছিল বলে জানিয়েছিলেন কোকিলকণ্ঠী।
আবেগ প্রবণ শোয়েব নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জানা, “আমাকে তিনি মা বলে ডাকতে বলেছিলেন। তাঁর সুন্দর ব্যবহারে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ওঁর সঙ্গে সামনে গিয়ে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলাম। সেই সময়ে নবরাত্রি চলছিল। উনি আমাকে দু’দিন পর তাই ওঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানে ফেরার টিকিট থাকায় আমাকে ফিরতে হয়েছিল। তবে বলেছিলাম পরের বার আসলে নিশ্চয়ই দেখা করব। কিন্তু আফসোস আর দেখা হয়নি। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় আর ভারতে আসা হয়নি আমার। দেখা হয়নি ওঁর সঙ্গেও। এটা আমার জীবনের বড় আফসোস”।
শোয়েব জানান যে তাঁর সঙ্গে কথোপকথনে লতাজি তাঁকে বলেছিলেন যে তিনি নুরজাহান, গোলাম আলি, মেহেদী হাসানের সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। তারা সকলে লতাজিকে খুব ভালোবাসতেন। নুরজাহানকে লতাজি নিজের বড় দিদি মনে করতেন।
শোয়েব জানান লতাজি তাঁকে বলেছিলেন তিনি যেন জীবনে দু’টি বিষয় কখনও না ভোলেন। এক, নিজের নম্র ব্যবহার এবং দুই, মানুষের পাশে থাকা, তাঁকে সাহায্য করা। সেই সুরসাম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে নিজের দুঃখ চেপে রাখতে পারলেন না শোয়েব আখতার।