খুশির হাওয়া পুজোর আগে, অবহেলিত শিশুদের রকমারি পদের ইলিশ ভোজন করালেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী

বাঙালিদের প্রিয় মাছ ইলিশ, তার জনপ্রিয়তা ও তাদের কথা মাথায় রেখে রুপোলী শস্য নামে ডাকা হয় ইলিশকে। বাংলা সাহিত্যে ইলিশের কতই না উল্লেখ রয়েছে গল্প কবিতা উপন্যাসে। শুধু তাই নয় প্রাচীন লোকসংগীত এবং পল্লীগীতিতেও ইলিশের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।তবে মাছের রাজা ইলিশ এর দাম হয় তাতে মধ্যবিত্ত বাঙালি ইলিশ কিনতে যাওয়ার আগে দুবার ভাবে সেখানে যারা নিম্নবিত্ত তাদের কাছেই ইলিশ তো বিলাসিতার আরেক নাম। এই বছর করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে তাতে ইলিশ খাওয়ার স্বপ্ন ছাড়তে হচ্ছে অধিকাংশ বাঙালিকেই।
কিন্তু বাচ্চারা কি আর বোঝে? তাই এবার অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী এবং হাসিখুশি ক্লাবের উদ্যোগে পালন করা হলো ইলিশ উৎসব যেখানে সমাজের অবহেলিত বাচ্চাদের মুখে ইলিশ মাছের বিভিন্ন পদ তুলে দেওয়া হল।সমাজের পিছিয়ে পড়া, দুঃস্থ ও অবহেলিত বাচ্চাদের মুখেই হাসি ফোটাতে রবিবার বরানগরের টবিন রোড এর ঘোড়ার আস্তাবল এর কাছে আয়োজন করা হয়েছিল ‘অন্য ইলিশ উৎসব’। যেখানে পাত পেড়ে মনের আনন্দে ইলিশ মাথা দিয়ে কচু শাক, ইলিশ ভাপা, ইলিশ মাছ ভাজা দিয়ে গরম ভাত খেলো বাচ্চারা। খাওয়ার সময় তাদের চোখ-মুখের তৃপ্তি উদ্যোক্তাদের একটু অন্যরকম ভাললাগা দিচ্ছিল।
যদিও যিনি এই মহৎ উদ্যোগের প্রধান উদ্যোক্তা সে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী বর্তমানে করোনা আক্রান্ত তিনি এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তবে তিনি বাড়ি থেকেই নিজের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই প্রোগ্রামের জন্য। হাসিখুশি ক্লাব এর অন্য সদস্যদের সম্পূর্ণ সহযোগিতায় গতকাল বাচ্চারা সত্যিই নতুন এক আনন্দের স্বাদ পেয়েছে।