প্রবল চাপে রিয়া চক্রবর্তী, শিয়রে ইডির শমন, শুক্রবার দিতে হবে দফতরে হাজিরা

এবার রিয়া চক্রবর্তীকে শমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডি। শুক্রবার সকাল ১১ টায় ইডির দফতরে হাজির হতে হবে তাঁকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, প্রবল জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়বেন রিয়া।
সুশান্ত সিং রাজপুত অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা ধীরে ধীরে অন্য দিকে মোড় নিয়েছে বিগত এক সপ্তাহ ধরে। গত ২৬শে জুলাই বিহারে রাজেন্দ্র নগর থানায় সুশান্ত সিং রাজপুত-এর বাবা কেকে সিং রিয়া চক্রবর্তী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতেই শুরু হয় ঘটনার ঘনঘটা। বিহার পুলিশের তদন্তকারী দল মুম্বইয়ে আসে। সেখানে মুম্বই পুলিশ ক্রমাগত তাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে বলে খবর। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় খবর হলো সুশান্ত সিং রাজপুত অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা তদন্তের ভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। খুব শীঘ্রই সিবিআই এফআইআর দায়ের করতে পারে রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এছাড়াও রিয়া সম্প্রতি ফেঁসেছেন ইডির কাছেও।
বুধবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কেন্দ্র আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট শমন পাঠিয়েছে রিয়া চক্রবর্তীর কাছে। রিয়ার বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ এনেছে সুশান্তের পরিবার। সুশান্ত সিং রাজপুত প্রতিষ্ঠিত দুটি সংস্থার ডিরেক্টরের পদেও রয়েছেন রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। এই সংস্থাগুলির আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখছে ইডি।
গত ৩১শে জুলাই এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফর্মেশন রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তী, তার ম্যানেজার এবং রিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে।
বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রিয়ার অ্যাসোসিয়েট স্যামুয়েল মিরান্ডাকে। যিনি বিহার পুলিশকে কোন রকম ভাবেই কোনো বক্তব্য দেননি হাজার অনুরোধ সত্ত্বেও।
অন্যদিকে রিয়া সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন যাতে পাটনা থেকে এই মামলার তদন্তভার মুম্বইতে আনা হয়। সুপ্রিম কোর্ট থেকে সেটি খারিজ করে দেওয়া হয়। জানানো হয়, আপাতত মুম্বই ও বিহার পুলিশ উভয়পক্ষই এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। চাইলেই তাঁরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তবে গতকাল থেকে এই মামলার তদন্তভার চলে গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। সুশান্তের অনুরাগীরা এই খবরে যারপরনাই খুশি। তাঁদের বক্তব্য যে এতদিন পর সুবিচার পাবেন সুশান্ত।