পুরুষের চাহিদা রয়েছে, কিন্তু জোগান নেই! পুরুষ সংকটে ভুগছে ইউরোপের ৬ টি দেশ!
এ এক অদ্ভুত সংকট! দেশে প্রয়োজনের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা কম। আর এমনই এক বিচিত্র মানব সংকটে জর্জরিত পূর্ব ইউরোপের বেশ কিছু দেশ। এর কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে দেশগুলিতে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের সংখ্যা বেশ কম। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ইউরোপিয়ান দেশগুলিতে বর্তমানে পুরুষ সংকট চলছে !
ইউরোপে যে দেশগুলিতে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের সংখ্যা বেশ কম সেই দেশ গুলি হল রাশিয়া, লাটভিয়া, বেলারুশ, লিথুনিয়া, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন। তবে এই ছটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকটে রয়েছে লাটভিয়া। পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, লাটভিয়ায় প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৮.০।
লাটভিয়া সাবেক কমিউনিষ্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এসে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে প্রায় দুই দশক হতে চললো।কিন্তু, পুঁজিবাদি ব্যবস্থায় লাটভিয় মহিলারা যতোটা এগিয়েছেন,ততোটাই পিছিয়েছেন পুরুষরা।
তথ্য পাওয়া গেছে পুরুষদের চেয়ে মেয়েরা সেখানে গড়ে এগারো বছর করে বেশী বাঁচছেন। ফলে, তৈরী হয়েছে নারী-পুরুষের মধ্যে এক সামাজিক ভারসা’ম্যহী’নতা। নারী – পুরুষের এই ভারসাম্যহীনতার প্রকৃষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় লাটভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ৫০% বেশী। আর তার পরেই রয়েছে লিথুনিয়া । সেখানে প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৭.২।
আর্মেনিয়ায় প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৫.৫। রাশিয়ায় প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৫.৩। বেলারুশে প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৫.২। ইউক্রেনে প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৫.৮৭।
এবার প্রশ্ন উঠছে কেনও নারী পুরুষের মধ্যে এই বিশাল তফাত্ সৃষ্টি হচ্ছে এই দেশগুলিতে ? সমাজবিজ্ঞানী বাইবা বেলা জিনিয়েছেন, এইসব দেশগুলোতে দেখা গেছে মেয়েরা যে বয়সে সংসার গড়ার জন্য তৈরী হয় সেই বয়সে দেখা যায় ছেলেরা হয়তো মারা যাচ্ছে নয়তো আত্মহত্যা করছে। আর এই আত্মহত্যার সংখ্যা হচ্ছে তাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর চারগুণ।