রাজ্যে এবছর পুজোর মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ, পুজো মামলা নিয়ে কি কি নির্দেশিকা জারি করল হাইকোর্ট, দেখে নিন

এবছর দুর্গাপুজো হবে দর্শকশূন্য। মণ্ডপের ভেতরে কোনও দর্শক প্রবেশ করতে পারবে না। এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে। অতিমারি পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে থমকে গেছে সাধারণ মানুষের জীবন। স্কুল, অফিস-কাছারি দীর্ঘদিন বন্ধ। মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার। এই অবস্থায় জাঁকজমক করে দুর্গাপুজো পালন করা কতটা নিরাপদ হবে এই দাবী জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বিদ্যুৎ দফতরের প্রাক্তন কর্মী অজয়কুমার দে। তার সেই মামলারই শুনানি চলছিল কয়েকদিন ধরেই।
আজ, সোমবার সেই মামলার শুনানির পর রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই রায়ে জানানো হয় যে করোনা পরিস্থতির কথা চিন্তা করে এই বছর পুজোয় মণ্ডপের ভেতর কোনও দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এছাড়াও, হাইকোর্টের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে আরও কয়েক দফা নির্দেশ, তা কি কি আসুন দেখে নিই…
• মণ্ডপ ও প্রতিমার ভার্চুয়াল কভারেজ করতে হবে। মণ্ডপের বাইরে সেই ভার্চুয়াল পুজো দেখবে দর্শক।
• জনস্বার্থে সমস্ত মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’ জোন করতে হবে যাতে কেউ মণ্ডপের ভেতরে না ঢুকতে পারে। এমনকি, মানতে হবে দুরত্ববিধি, ছোটো মণ্ডপের ক্ষেত্রে ৫ মিটার ও বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১০ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে।
• মণ্ডপের চারিদিক ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরতে হবে।
• কমিটিতে যাদের নাম আছে, তারা ছাড়া বাইরের কেউ মণ্ডপে থাকবেন না। ১৫-২০ জনের বেশী মণ্ডপে থাকা যাবে না।
• সমস্ত স্থানে স্থানে ভিড় নিয়ন্ত্রণের সচেতনার অভিযান চালাতে হবে।
• কি কি বিধিনিষেধ অনুসরণ করা হল ও কতটা তা মেনে চলা হল, এসবের হলফনামা লক্ষ্মীপুজোর পর জমা করতে হবে ডিজিপি, পুলিশ কমিশনারকে। ৫ই নভেম্বরের মধ্যে এই হলফনামা পেশ করতে হবে।
উপরোক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করে করোনার সাথে কতটা মোকাবিলা করা যায়, এখন সেটাই দেখার।