লাইফ স্টাইল

Covid 19: বাড়িতে বাচ্চারা কোভিড আক্রান্ত? কী করবেন আর কী করবেন না, জানুন বিস্তারিত

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে করোনার যে স্ট্রেন ঘুরে বেড়াচ্ছে তা সহজেই কাবু করে ফেলছে বাচ্চাদের। যারা প্রাপ্তবয়স্ক তারা নিজেরা নিজেদেরকে সামলাতে পারল শিশুদের কোভিড হলে ঠিক কী কী করা উচিত তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। ওই প্রতিবেদনে শিশুদের কোভিড নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল পাঠকদের সুবিধার্থে।

বিজ্ঞাপন

কীভাবে বুঝবেন আপনার বাচ্চার কোভিড হয়েছে?

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে কোভিড অনেকটাই উপসর্গহীন হয়ে যাওয়ায় বুঝতে দেরি হয়ে যাচ্ছে সকলের। আর বাচ্চাদেরকে কোভিড হলে তারা নিজেরাও বুঝতে পারছে না। আপনি যদি দেখেন আপনার শিশু সব সময় ঘুমিয়ে থাকছে, আপনি যা বলছেন তা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে তাহলে সতর্ক হোন। এছাড়াও যদি টানা তিন দিন ১০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর উপর জ্বর থাকে। হঠাৎ করেই বুক পেট ব্যথা শুরু হয় অথবা শ্বাসকষ্ট হতে থাকে তাহলে দেরি না করে ডাক্তারকে জানান।

বিজ্ঞাপন

রিপোর্ট পজিটিভ হলে কী কী করবেন?

বিজ্ঞাপন

কোভিড রিপোর্ট পাওয়ার পর চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খাওয়াবেন, নিজে থেকে ডাক্তারি করতে যাবেন না। জরুরী নম্বরগুলো হাতের কাছে রাখুন যাতে দরকার পড়লেই ফোন করতে পারেন।

আপনার বাচ্চার বয়স যদি পাঁচ বছরের নিচে হয় তাহলে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখবেন না। এছাড়া যে সকল বাচ্চাদের বয়স ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে তাদের কেউ একেবারে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাবে না। আপনি অথবা যিনি কেয়ারগিভার হবেন তিনি নিজের সব সময় সতর্ক থাকবেন। বাড়ির বয়স্কদের এই সময় বাচ্চার সংস্পর্শে আসতে দেবেন না।

বিজ্ঞাপন

রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৬ ঘন্টা অন্তর মেপে দেখবেন। জ্বর থাকলে থার্মোমিটার দিয়ে মাঝে মাঝেই মাপতে থাকুন। হাতের কাছে প্যারাসিটামল রাখুন।

পেটের সমস্যার ওষুধ সঙ্গে রাখুন।

বাচ্চাকে সমানে মনোবল দিয়ে যান কারণ আপনি শক্ত থাকলেই সে কোভিড জয় করে উঠতে পারবে। বাচ্চার সামনে কেঁদে ফেলবেন না।

তাকে প্রয়োজনমতো মাস্ক পরে থাকতে বলুন, কনুইয়ে মুখ চাপা দিয়ে কাশতে শেখান। একদম ছোট বাচ্চাদের খাইয়ে দেওয়ার সময় সতর্ক থাকবেন। সব সময় চামচে করে খাওয়াবেন। সেই চামচ যেন পরিবারের আর কেউ ব্যবহার না করে সেটা দেখবেন। প্লাস্টিক বা বায়ো-ডিগ্রেডেবল চামচ, থালা, বাটি, গ্লাস ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।

একটু বড় বাচ্চাদের কাগজের থালা বাটিতে খেতে দিয়ে সেই থালা-বাটি যেন তারা নিজেরাই ঘরে রাখা ডাস্টবিনে ফেলে দেয় সেটা শেখাবেন।

বাচ্চাকে এইসময় একেবারেই একা রাখবেন না। তাদেরকে যেকোনো সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত করে দিন। তার সঙ্গে দূর থেকেই গল্প করবেন। তাকে বুঝিয়ে বলবেন তার কী হয়েছে এবং সে যে জলদি সেরে যাবে সেটা তাকে বারবার আশ্বাস দেবেন।

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading