মাত্র ৮০ টাকা ধার নিয়ে ব্যবসা শুরু, আজ বার্ষিক আয় ১৬০০ কোটি টাকা!জানুন লিজ্জত পাঁপড়ের প্রতিষ্ঠাতা পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত যশন্তীবেনের চোখে জল আনা কাহিনী
আমাদের দেশে কত মানুষ আছে যারা নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রচুর কষ্ট করে যাচ্ছেন। একদম কম টাকা নিয়ে শুরু করছেন ব্যবসা তারপরে নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং পরিশ্রমের জোরে দাঁড় করাচ্ছেন সেই ব্যবসাটাকে। তাদের কাছে অনুপ্রেরণা হতে পারেন এই আটজন মহিলা। যাদের তৈরি পাঁপড় আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে সহজেই।
কিন্তু এই শুরুটা সহজ ছিল না। ১৯৫৯ সালের ১৫ই মার্চ শুরু হয়েছিল লিজ্জত পাঁপড়ের যাত্রা। আজ থেকে অত বছর আগে গুজরাটের একটি প্রান্ত থেকে আটজন মহিলা ব্যবসা শুরু করে খ্যাতি লাভ করবেন এটা ভাবাই যেত না। কিন্তু অসম্ভব কে সম্ভব করে দেখিয়েছেন যশন্তীবেন, পার্বতীবেন, উজমাবেন সহ আটজন মহিলা। এই আটজন মহিলা আজ থেকে অত বছর আগে ঠিক করেছিলেন যে কিছু অতিরিক্ত পয়সা উপার্জন করতে হবে সংসার স্বচ্ছন্দে চালানোর জন্য। যেমন ভাবা তেমন কাজ।তারা ভাবলেন যে পাঁপড় তৈরি করে সেই পাঁপড় বিক্রি করে তারা পয়সা উপার্জন করবেন।
শুরু হলো পাঁপড় তৈরি করা। এদিক ওদিক থেকে মাত্র ৮০ টাকা ঋণ নিয়ে শুরু হলো ব্যবসা। সারাদিনের সংসারের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর কোথায় একটু বিশ্রাম নেবেন তা নয়, পাঁপড় তৈরি করতে লাগলেন এই আটজন মহিলা। প্রত্যেকই মাত্র চার প্যাকেট করে পাঁপড় তৈরি করতে পারতেন।তাদের চোখে তখন ব্যবসা দাঁড় করানোর স্বপ্ন।
সেদিনের সেই ব্যবসা শুরু হওয়ার পর থেকে লিজ্জত পাঁপড়ের লড়াইটা কিন্তু থেমে থাকেনি। এই লিজ্জত পাঁপড়ের এখন বার্ষিক আয় কত জানেন? ১৬০০ কোটি টাকা! হ্যাঁ ঠিকই পড়লেন, ঠিক এত টাকাই বার্ষিক আয় হয় এই সংস্থার। প্রথম প্রথম বাজার গবেষণা, ব্যবসা বৃদ্ধি, বার্ষিক টার্নওভার নিয়ে কোন আইডিয়াই ছিল না এই আট জনের। তারা নিজেদের পাঁপড় এর নাম লিজ্জত দিয়েছিলেন, গুজরাতি ভাষায় এর অর্থ হল সুস্বাদু। স্বাভাবিক ভাবেই নিজেদের রান্নার দক্ষতার ওপর নির্ভর করেই এই ব্যবসা খুলে ফেলে ছিলেন এই ৮ জন।
নিজের কাজের জন্য স্বীকৃতিও পেয়েছেন যশন্তীবেন। এই বছর রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার নিয়েছেন তিনি। এখন এই সংস্থায় কাজ করেন হাজার হাজার মহিলা। এই যাত্রা যে আরো এগিয়ে যাবে এ কথা বলাই বাহুল্য।