শোনা যাচ্ছে আগমনীর বার্তা, মা ঘরে ওঠার আগে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, সৌভাগ্য ফিরবে সংসারে

মহালয়া মানেই পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা। মহালয়ের ঠিক এক সপ্তাহের মাথাতেই মা আসেন সংসারে শান্তি ফেরাতে, সকলের মন আনন্দে ভরিয়ে তুলতে। তবে এই বছর চিত্রটা খানিকটা আলাদা। মহালয়ার পর প্রায় একমাসের অপেক্ষা। কিন্তু শরতের নীল আকাশ ও মাঠে মাঠে কাশফুল জানান দিচ্ছে যে মায়ের আসতে আর দেরী নেই। মহামায়ার আগমনীর গান বাজতে শুরু করেছে। এই মহামারীকে নিয়েই বাঙালি মেতেছে মায়ের আগমনের প্রস্তুতিতে। অলি-গলিতে সাজো সাজো রব, কারণ এক বছর পর আবার মা মর্ত্যে আসছেন।
সকলের দুর্গতি যিনি নাশ করেন তিনিই দুর্গা। দেবী দুর্গাকে আবার মহামায়া, ভবানী, দশভূজা, শিবানী, সিংহবাহনা, ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। কালিকাপুরাণ, মহাভাগবত, কালী বিলাসতন্ত্র, দুর্গোৎসবতত্ত্ব, দেবীভাগবত, দুর্গাভক্তিতরঙ্গিণী, এই সমস্ত গ্রন্থে দুর্গা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত মহিষাসুর নামে এক দানব স্বর্গরাজ্য দখল করলে দেবতারা বিষ্ণুর শরণাপন্ন হন। বিষ্ণুর নির্দেশে সকল দেবতার তেজঃপুঞ্জ থেকে আবির্ভাব হন দেবী দুর্গা। দেবতাদের শক্তিতে শক্তিময়ী ও বিভিন্ন অস্ত্রে সুসজ্জিতা হয়ে দেবী মহিষাসুরকে বধ করে স্বর্গরাজ্য পুনরুদ্ধার করেন। মহিষাসুরকে বধ করেন বলে দেবীর আর এক নাম মহিষাসুরমর্দিনী।
শাস্ত্রে বলেছে, আমাদের জীবনের দুর্গতির পিছনে রয়েছে আমাদেরই কিছু বদ অভ্যাস। এই অভ্যাসগুলিই আমাদের জীবনে দুর্ভাগ্য ডেকে আনে। তবে দেবীপক্ষে কিছু নিয়ম পালন করলে অতি সহজেই এই দুর্ভাগ্য থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যেতে পারে।
দেবীপক্ষের শুরুর দিন থেকেই আগে গৃহদেবতার পুজো সেরে ফেলতে হবে। তারপর বাকি সব কাজ। ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রথমেই নিজের হাতের তালুর দিকে একবার নজর দিন। মনে করা হয়, হাতের তালুতেই ইষ্টদেবতা অধিষ্ঠান করেন। তাই দিন শুরুর সময়ই হাতের তালুতে দৃষ্টিপাত করলে, আপনার দিনটি খুব ভালো কাটবে ও সকল গ্রহ শুভ ফল দেবে। তাছাড়া, দেবীপক্ষে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে ইষ্টদেবতাকে স্মরণ করুন। এই সময় সকাল সকাল স্নান সেরে সূর্যদেবতাকে প্রণাম করুন। দেবীপক্ষ চলাকালীন সন্ধ্যাবেলা নিয়মিত প্রদীপ দেওয়া প্রয়োজন, তবেই আপনার সংসারে ফিরবে সুখ ও সমৃদ্ধি। শারদীয়ার প্রাক্কালে এইসব নিয়ম মেনে চলুন, আপনার ও আপনার সংসারের উপর দেবী মায়ের কৃপাদৃষ্টি বজায় থাকবে সবসময়।