কিছু ব্যক্তিকে এখনও একবারও ছুঁতেও পারেনি করোনা, কেন? তারা কী সুপার হিউম্যান? কী বলছে গবেষণা?
গত আড়াই বছর ধরে যা নিয়ে সকলে আতঙ্কে রয়েছে, তা হল করোনা। বর্তমানে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও, তা কিন্তু একেবারে চলে যায়নি। যখনই মনে করা হচ্ছে, ভাইরাস একেবারে নির্মূল, সেই পর মুহূর্তেই ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন আসছে।
করোনা দ্রুত নিজের রূপ বদলায়। এই কারণেই নানান সমস্যা তৈরি হয়। ধরুন, আপনি একবার করোনা আক্রান্ত হলেন। এরপর ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আপনার শরীরে ইমিউনিটি তৈরি হল। কিন্তু সেই ভাইরাস নতুন রূপ বদলায়, যদি তার মধ্যে স্পাইক প্রোটিনের বদল ঘটে, তাহলে ফের আপনি সেই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।
কেউ কেউ এই ভাইরাসে একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছেন তো কেউ আবার একবারের জন্যও করোনায় আক্রান্ত হন নি। কেন সেই ব্যক্তিদের করোনা ছুঁতেও পারে নি। তাহলে কী তারা সুপার হিউম্যান? নাহ্, সেরকম কোনও ব্যাপার নয়। এই নিয়ে বেশ কয়েকটি তত্ত্ব দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
একটি নতুন তত্ত্ব বলছে যে কিছু মানুষ নিজেরা খুবই সচেতন ছিলেন। অর্থাৎ মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোয়া, ভিড় এড়িয়ে চলা সবই করেছেন তারা। তাই অতিমারি তাদের ছুঁতে পারে নি। কিন্তু প্রশ্ন হল, এখন তো সব বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছে, এখন তাহলে সুরক্ষিত থাকা কীভাবে সম্ভব? এই বিষয়টিও কিন্তু ভাবাচ্ছে সকলকে!
টিকা নেওয়ার কারণেই কী করোনা ছুঁতে পারেনি অনেককে? এই প্রশ্নও কিন্তু উঠেছে একাধিকবার। দেখা গিয়েছে যে হাসপাতালে কাজ করার পরও বহু মানুষের করোনা হয়নি। এবার এখানেই অনেকে বলতে শুরু করেছেন যে টিকার জন্যই এমনটা সম্ভব হয়েছে। তবে এটা যে হতে পারে, তা অস্বীকার করা যায় না। তবে টিকা নিলেই যে এই রোগ আর হবেই না, এমনটা কিন্তু মোটেই নয়। কারণ বহু ক্ষেত্রে টিকা নেওয়ার পরও করোনা হয়েছে মানুষের। তাই সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজন।
আবার অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে যে অনেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও তাদের মধ্যে কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। তাই তাদের কোনও সমসাও হয়নি। শরীরে রোগ হয়ত লুকিয়ে ছিল, কিন্তু তারা নিজেরাও হয়ত জানতেন না যে তারা করোনায় আক্রান্ত।
অবশেষে গবেষণা বলছে, কোভিড-১৯ কিন্তু প্রথম করোনাভাইরাস নয়। এর আগেও অনেক করোনাভাইরাস সমস্যা তৈরি করেছিল। যেমন সার্স ও মার্স ছিল। এছাড়াও সাধারণ সর্দি-কাশিও হয়েছে এই করোনাভাইরাসের জন্য। এই ভাইরাসে একবার আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেরই কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে একটা ইমিউনিটি কাজ করেছে যার ফলে তাঁরা এই রোগটিতে আক্রান্ত হননি।