দক্ষিণে প্রবল দাবদাহে সকলে যখন অতিষ্ঠ সেসময় বন্যার কবলে উত্তরের জেলা জলপাইগুড়ি। মহানগরে আজ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা দুই ডিগ্রি বেশি। অপরদিকে উত্তরের আবহাওয়া আজ বেশ মনোরম। রবিবার সকাল থেকে কোচবিহার সহ উত্তরের জেলাগুলোতে হয়েছে বৃষ্টিপাত এবং আকাশও থেকেছে প্রায় মেঘাচ্ছন্ন৷
তবে এই বৃষ্টিপাতের কারণেই কি বন্যা? না, বৃষ্টিপাতের যা পরিমাণ তাতে বন্যা হওয়ার কথা নয় উত্তরবঙ্গে। তবুও জলপাইগুরি জেলার বেশ কিছু এলাকা বন্যার কবলে। কারণটি উত্তরবঙ্গ সংলগ্ন পাহাড়ি দেশ ভুটানের আবহাওয়া৷ এই কদিনে বেশ ভালো পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে ভুটানের পাহাড়গুলোতে। আর সেই বৃষ্টির জলই ডুয়ার্সে বয়ে নিয়ে এসেছে ভুটান থেকে আসা পাহাড়ি নদী কিংবা ঝোড়াগুলো। যার জেরেই জলপাইগুড়ি জেলার এক বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পরেছে৷
জল উঠেছে জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত বানারহাট এলাকার বিভিন্ন অংশে৷ বানারহাটের হাসপাতাল চত্বরেও উঠেছে বন্যার জল। ফলস্বরূপ নানান অসুবিধায় পরতে হচ্ছে হাসপাতালের রুগী, স্টাফ এবং রুগীর পরিবারজনদের৷ বানারহাটের বেশ কিছু অংশের বাসিন্দারা নিজের ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন সড়কেও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বানারহাট – বিন্নাগুরি সড়ক পথ নির্মাণের কাজ অপরিকল্পিত ভাবে চলাতেই এভাবে বন্যার জলে জলমগ্ন হয়ে পরেছে সেই এলাকা। এই অভিযোগে ৩১ (c) নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছেন তারা।
উত্তরে বৃষ্টির দরুন আজ তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও দক্ষিণের তাপমাত্রা কমার কোনো সুযোগই নেই। বঙ্গোপসাগরে যে নিন্মচাপ দেখা দিয়েছে তার কোনো প্রভাব আদৌ মহানগরে পরবে কীনা তা নিয়ে নিশ্চিত নন আবহাওয়া দপ্তর। কাজেই এখন দক্ষিণবঙ্গ বাসিদের নিকট অপেক্ষা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।