কেরলে দলিত নাবালিকা বোনেদের ধর্ষণের পর খুন! অপরাধীরা সিপিএম সদস্য তাই বিজয়ন রাজত্বে নেই বিচার! আন্দোলনে ‘মা’
ঘটনার তিন বছর পার। এখনও মেলেনি বিচার। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) জানিয়েছিলেন এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত করা হবে। কিন্তু পিছপা হয়েছেন। যেখানে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস কান্ডে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত বিরোধীদল সরব হয়েছিল সেখানে কেনও চাপা পড়ে কেরলের এই দলিত কিশোরীদের ধর্ষণ করে হত্যা ঘটনা?
মৃত মেয়েদের মা জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত করা হবে। কিন্তু এখনও তা করা হয়নি। তিনি অভিযোগ করেছেন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বেশিরভাগ অপরাধীরাই সিপিএম (CPIM) দলের সদস্য।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই মামলায় অভিযুক্ত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে ধরা হলেও, ১ জন এখনও অবধি ঘুরে বেড়াচ্ছে। মৃত দুই মেয়ের সৎ বাবার কথায়, পুলিশ অপরাধীদের রক্ষা করছে। তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছে।
নির্যাতিতাদের দলিত মা তাঁর দুই মেয়ের হত্যার বিচারের জন্য আবারও সরকারের দারস্থ হয়েছেন। আজ থেকে ৩ বছর আগে দুই বোনকে ধর্ষণ করে ভালিয়ারে তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সোমবার আবারও সেই বিচারের জন্য তাদের মা ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন শুরু করেছেন।
ঘটনা কি ঘটেছিল? ২০১৭ সালে মাত্র ৫২ দিনের মধ্যেই ১২ বছর বয়সী এবং ৮ বছর বয়সের দুই বোনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ভালিয়ার থেকে। ঘটনার সময় তাদের বাবা-মা কেউই বাড়িতে ছিলেন না। গত মাসেই কেরালার পিনারাই বিজয়ন সরকার হাইকোর্টের সামনে স্বীকার করেছিলেন এই মামলাটির যথাযথভাবে তদন্ত করা হয়নি। এই মামলাটির পুনরায় তদন্তের প্রয়োজন।
এই ঘটনা নিয়ে ফের হইচই শুরু হওয়ায় চুপ করে বসে নেই বিরোধীরাও। বিরোধী দলীয় নেতা রমেশ চেনিথালা এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন পালক্কাদ জেলায় মৃত মেয়েদের প্রতিবাদী মা এবং পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, উত্তরপ্রদেশের হাতরাশের ঘটনার চেয়েও এটি খারাপ ঘটনা। যারা হাথরাসের মামলায় কুমিরের অশ্রু বর্ষণ করেছিলেন, তারা আজ নীরব কেন? এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে বিচার না পাওয়ায় ওই মহিলাকে আবারও আন্দোলন করতে হচ্ছে।