শুধুমাত্র ধর্ষণের সাজাও মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, আইন বদলাচ্ছে পড়শি দেশ

এবার থেকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড, এমনটাই ঘোষণা হল বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা সরকার এবার মহিলা ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে এবং তারই ফলশ্রুতি বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা এবার থেকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা যেতে পারে।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রীসভার যে বৈঠক হয় সেখানে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন এই সংশোধিত আইনটি খুব শীঘ্রই অর্ডিন্যান্স হিসাবে জারি করা হতে চলেছে।
এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে ধর্ষণজনিত হত্যায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান ছিল। শুধু ধর্ষণের ক্ষেত্রে এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে শুধু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডকেই সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে মানা হত। এবার এই শাস্তিকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ায় আপ্লুত বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী থেকে সাধারণ মানুষ সকলে।
সম্প্রতি নোয়াখালিতে এক মহিলাকে নির্যাতন ও বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে ঢাকা সহ গোটা দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ঝড় বইছে।
বিগত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ গোটা ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট উত্তাল। মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে গত ৭ দিন ধরে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ডের’ দাবি উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার এই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। ২০০০ সাল থেকে মহিলা ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই দেশে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিচার হয়।
এই আইনের ৯ (১) ধারায় বলা আছে, যদি কোন পুরুষ কোন শিশু বা মহিলাকে ধর্ষণ করে তাহলে তার জরিমানা ও যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড হবে। এর পরের ধারাতে বলা হয়েছে যে, ধর্ষণ বা ধর্ষণের পরবর্তী অন্য কোনো কার্যকলাপে যদি সে মহিলা বা শিশুর মৃত্যু ঘটে তাহলে ঐ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এবার এই ৯(১) ধারাটিতেই বদল আনা হচ্ছে। এখন থেকে শুধুমাত্র ধর্ষণের শাস্তিও মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
তবে এই আইনটি শুধু প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের জন্য শিশু আইন ২০১৩ বিধানগুলি অনুসরণ করা হবে।