বাংলাদেশ

আশঙ্কাই সত্যি! মাঝরাতে বাংলাদেশে আছড়ে পড়ল সিত্রাং, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবলীলার জেরে মৃত্যু ১০ জনের

আশঙ্কা সত্যি হল। সোমবার মাঝরাতে আছড়ে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। বেশ বড় বিপর্যয়ের মুখে প্রতিবেশী রাষ্ট্র। সিত্রাংয়ের জেরে ইতিমধ্যেই ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সারারাত তাণ্ডবলীলা চালানোর পর শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সিত্রাং। এর জেরে রক্ষা পেল এপার বাংলা। পশ্চিমবঙ্গে সিত্রাংয়ের প্রভাব পুরোপুরি কেটে গিয়েছে। সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা গিয়েছে বাংলায়।  

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে খবর, গতকাল, সোমবার সন্ধে ৬টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগটি মূল ভূখণ্ডে আছড়ে পড়েছিল। ধীরে ধীরে রাতের দিকে তার ‘ল্যাজ’-এর দিকটি তাণ্ডব দেখাতে শুরু করে। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে যায় উপকূলীয় এলাকাগুলি। নড়াইলে প্রথম তাণ্ডব শুরু হয় সিত্রাংয়ের।

এরপর বরগুণা, ভোলা উপজেলাতেও দুর্যোগ বাড়তে থাকে। গাছ উপড়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের। বরগুণায় একশো বছরের এক বৃদ্ধার প্রাণহানি ঘটেছে। দুর্যোগের মধ্যেও নৌকা চলাচল করছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, নৌকাডুবিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির খবর মিলেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়।

আজ, মঙ্গলবার ভোরের দিকে ক্রমেই দুর্বল হতে থাকে সিত্রাং। রাজধানী ঢাকা আপাতত জলমগ্ন। তবে রোদও উঠেছে। সকালের দিকে দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর নদীগুলিতে নৌকা চলাচল শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে।

দুর্যোগ পুরোপুরি কেটে গেলে তবেই ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান জানা যাবে। নানান ত্রাণ শিবিরগুলিতে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। স্বজনহারানো ও ক্ষয়ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে দ্রুতই আর্থিক সাহায্য করা হবে। তবে স্থানীয় প্রশাসনের মতে, সিত্রাংয়ের ক্ষত মেরামত করতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে।

Related Articles

Back to top button