পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হয়ে নির্বিচারে হত্যা ও ধর্ষণ, মৃত্যু পরোয়ানা জারি প্রাক্তন বাংলাদেশি মন্ত্রীর

সাল ১৯৭১! বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর হয়ে নির্বিচারে হত্যা ও ধর্ষণ করেছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী সৈয়দ মহম্মদ কায়সার (Syed Mohammed Kaisar)। আর এই ঘটনার শাস্তি হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হতে চলেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে জারি হল মৃত্যু পরোয়ানা।
২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Sheikh Mujibur Rahman) কন্যা শেখ হাসিনার (Sheikh Haseena) নেতৃত্বে আওয়ামি লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হওয়া নবম মামলা এটি। ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল কায়সারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৪টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ধর্ষণের দুটি সহ সাতটি অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর সাতটি অভিযোগের মধ্যে চারটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং পৃথক তিনটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
উক্ত অপরাধে বাংলাদেশের প্রাক্তন এই মন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে কায়সারের করা আপিল আংশিক মঞ্জুর করে এই রায় দেওয়া হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাইদ আহমেদের কথায়, সৈয়দ মহম্মদ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষ, ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রকে বৃহস্পতিবার পাঠানো হয়েছে। এর আগে কায়সারের মামলায় আপিল বিভাগের রায়-সহ আনুষঙ্গিক নথিপত্র গতকাল অর্থাৎ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।