বাংলাদেশ

মেয়েকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ জানানোয় ছুরি দিয়ে কোপানো হল বাবাকে, অভিযোগ নিতে নারাজ পুলিশ, অবশেষে ধৃত মুসলিম যুবক, চাঞ্চল্য বাংলাদেশে

মেয়েকে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্যক্ত করছিল কিছু যুবক। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোয় তরুণীর বাবাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আঘাত করল অভিযুক্তরা। প্রথমে এই ঘটনার অভিযোগ  নিতেই অস্বীকার করে পুলিশ। পরে যদিও তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের বিশ্ব বিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশনে।

জানা গিয়েছে, এক তরুণীকে কোচিং সেন্টার যাওয়ার পথে প্রায়শই উত্যক্ত করত মিরাজ ও প্রিন্স নামের দুই যুবক। একদিন ইমন নামে তরুণীর বন্ধু তাঁকে ওই যুবকদের হাত থেকে বাঁচায়। তবে সেই বন্ধুকেও বেশ ভয় দেখায় অভিযুক্ত দুই যুবক। গত ১২ ই আগস্ট মেয়েকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ ওই তরুণীর বাবা নীল মাধব সাহা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপায় ওই দুই যুবক। এমনকি, তাঁর মাথাতেও আঘাত করে।  

নীলমাধব সাহা জানান, “ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। ওরা আমার মেয়েকে উত্যক্ত করত। ওর বন্ধু ইমন এর প্রতিবাদ করায় তাকেও ওরা ভয় দেখায়। প্রিন্স আমায় বলেছিল যে আমাদের যদি বাঁচতে হয় তাহলে তাকে প্রতি মাসে টাকা দিতে হবে। তা না হলে ও আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করবে”।

তরুণীর বাবার থেকে সমস্ত টাকাপয়সার লুট করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ক্ষত অবস্থাতেই ওই ব্যক্তি কাছাকাছি পুলিশ স্টেশনে পৌঁছন। তবে তাঁকে তখন তড়িঘড়ি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তিনি যখন পরে এই ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ জানাতে যান থানায়, তখন তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয় না। তাঁকে বলা হয় যে এই মামলাটি রেল পুলিশের দায়ের করতে হবে।

কিন্তু রেল পুলিশের তরফেও কোনও অভিযোগ লেখা হয় না। তবে পরে রেল পুলিশ এই ঘটনার অভিযোগ নেওয়ার পর এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে। এই তিনজনের নাম মিরাজ, ফিরহাদ ও আখের। জানা গিয়েছে, এই মিরাজ ও ফিরহাদ বাংলাদেশ আওয়ামী লিগের ছাত্র পরিষদ ছাত্র লিগের সদস্য। তাহলে সেই কারণেই প্রথমে এই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয়েছিল, এমনই প্রশ্ন উঠছে।

কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে সে দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের মতোই সমান অধিকার রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রায় সময়ই হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর দাবীর সঙ্গে সেদেশে ঘটা নানান ঘটনার মিল সেভাবে মেলে না অন্ততপক্ষে হিন্দুদের ক্ষেত্রে।

Related Articles

Back to top button