অন্য লোকের ঝামেলা কিনছেন ব্যক্তি, সেই ঝামেলা আবার বিক্রি করছেন অন্যের ঘরে, মাস গেলে কামাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকাও
ঝামেলা পোহাতে আর কারই বা ভালো লাগে! মনে হয় ঝামেলা গুলো তুলে কোথাও ফেলে দেওয়া যেতে পারলেন ভালোই হয়। পারিবারিক ঝামেলা, পেশাগত ঝামেলা। ঝামেলার কী আর কোনও শেষ আছে। ঝামেলা থেকে তাই শতহস্ত দূরেই থাকতে চান সকলেই। কিন্তু এবার এমন একজন ব্যক্তির খোঁজ মিলল যিনি কি না ঝামেলাই কেনেন।
হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন! ঝামেলা কেনেন এক ব্যক্তি। আবার সেই ঝামেলাই বিক্রি করে উপার্জন করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। অবাক হচ্ছেন তো? বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘ঢাকা পোস্ট’ এমনই এক ব্যক্তির কথা জানিয়েছে। সেই ব্যক্তির বাস ময়মনসিংহে, নাম সায়েম আহমেদ।
‘ঢাকা পোস্ট’-এর সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সায়েম আহমেদের একটি দোকান রয়েছে ময়মনসিংহে। সেই দোকানের নাম ‘মেসার্স ঝামেলা কিনি’। কিন্তু এমন অদ্ভুত কেন নাম দোকানের? নিজেই তা জানালেন সায়েম।
সায়েম জানাচ্ছেন, অনেকের কাছেই ঘরের পুরনো আসবাবপত্র একটা ঝামেলার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। নতুন আসবাবের ভিড়ে পুরনোরা কেমন যেমন কোণঠাসা হয়ে যায়। তাদের কদরও কমে আসে সময়ের নিয়মে। সেই পুরনো আসবাবগুলিই স্বল্প মূল্যে কিনে নেন সায়েম।
তাঁর কথায়, “এক জনের কাছে যেগুলি ঝামেলা, সেগুলিই আমার কাছে লক্ষ্মী”। অন্যের এমন ঝামেলা কিনে নিজের ঘরে ঢুকিয়ে সেই ঝামেলাই আবার বিক্রি করেমন অন্যের ঘরে। আর এই করেই দারুণ লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে তাঁর। মাস গেলে সায়েমের আয় হয় লক্ষ লক্ষ টাকা।
ঢাকা পোস্টকে সায়েম বলেন, “আমার দোকানের নাম ঠিক করতে দু’তিন মাস সময় নিয়েছিলাম। এক সময় মনে হল বাড়ির পুরনো আসবাব অনেকের কাছে ঝামেলা হয়ে দাঁড়ায়। আর সেই ঝামেলাই আমি কেনা স্থির করি। তার পরই সেই শব্দের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে দোকানের নাম দিলাম ঝামেলা কিনি”। পুরনো আসবাবপত্রগুলি স্বল্প মূল্যে কিনে সেগুলি মেরামত করে আবার বিক্রি করেন সায়েম।
প্রথমের দিকে এই কাজ একাই করতেন সায়েম। তবে এখন তাঁর দোকানে কাজ করেন ৭-৮ জন। তাদের মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকা। সায়েম জানান প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার টাকার ‘ঝামেলা’ কেনাবেচা করেন তিনি।