শেখ হাসিনা সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, বাংলাদেশ হাসিনার জেহাদিস্তান’, ইসকন মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে তসলিমা

বাংলাদেশে ইসকন মন্দিরে হামলা নিয়ে এবার তীব্র ক্ষোভ জাহির করলেন তসলিমা নাসরিন। এই ঘটনার জন্য তিনি শেখ হাসিনার সরকারকেই দায়ী করেন। সে দেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নষ্ট হওয়ার জন্য আঙুল তোলেন সে দেশের মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই। এমনকি, সোশ্যাল মিডিয়ায় তসলিমা এও ব্যাখ্যা করেছেন যে কিভাবে জেহাদি কার্যকলাপ রোখা যায়।
নোয়াখালির ইসকন মন্দিরে দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনায় গোটা বাংলাদেশ উত্তাল। এই হামলার জেরে মন্দিরের বেশ কিছু অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় পার্থ দাস নামের এক বছর ২৫-এর যুবক মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি কুমিল্লাতে দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর নিয়েও নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা দেশে। শুধু বাংলাদেশই নয়, পশ্চিমবঙ্গেও এই ঘটনার জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গেই এবার সরব হলেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ফেসবুক এবং টুইটারে একের পর এক পোস্ট করে তিনি বাংলাদেশের সরকারকে আক্রমণ শানান। তীব্র আক্রমণ করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও।
একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “আফগানিস্তান, পাকিস্তান, জেহাদিস্তান। জেহাদিস্তানের অফিসিয়াল নাম এখন অবশ্য বাংলাদেশ। এই তিন স্তান সমানে সমান পাল্লা দিয়ে চলছে। যুগ যুগ ধরে পরিকল্পিত ভাবে হিন্দু নির্যাতন চলছে জেহাদিস্তানে। গত তিন দিনে এই নির্যাতন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারের”। এর পাশাপাশি লিখেছেন যে এর সমস্ত কিছুই শেখ হাসিনা জানেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
Bangladeshi Muslims are two types.
1. Jihadi
2. Pro jihadi.
Liberal secular people having good sense and conscience in Muslim community are not real Muslims. Their identity is more as good humans or humanists, the smallest minority.— taslima nasreen (@taslimanasreen) October 16, 2021
বাংলাদেশের এই মৌলবাদী হামলা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ১৯৪৬-এর নোয়াখালির হিংসাকে। এই একইরকমভাবে লক্ষ্মীপুজোর দিন হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে তা তীব্র আকার ধারণ করে। মৃত্যু হয় একাধিক মানুষের। মহিলাদের ধর্ষণ, অপহরণ, বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছিল।
ওপার বাংলায় মৌলবাদী তাণ্ডবের পেছনে দায়ী কে? কেন যুগ যুগ ধরে এইভাবে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ হয়ে আসছে? এ প্রসঙ্গে তসলিমা বলেন, “কে বলেছে জেহাদি কার্যএকলাপ বন্ধ করার উপায় নেই? মাদ্রাসা, মসজিদ, ওয়াজ মাহফিল, ইজতেমা, ইসলাম প্রচার বন্ধ করে দিন। পরের প্রজন্মে একটিও জেহাদি পাবেন না। মুসলিম বলতেও কাউকে পাবেন কিনা সন্দেহ। পেলে মানুষ পাবেন। যদি সত্যিকার গণতন্ত্র বহাল থাকে, সমতার সমাজ থাকে, তাহলে অধিকাংশ মানুষের মধ্যে পাবেন বিবেক এবং মনুষ্যত্ব, শুভবুদ্ধি এবং উদারতা”।