Covid19 Crisis: বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির বৃদ্ধি নিম্নমুখী হতে চলেছে, জানাল আইএমএফ

করোনার জন্য এবছর বিশ্ব অর্থনীতিতে খারাপ সময় আস্তে চলেছে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ২০০৮ সালের মহামন্দার চেয়েও বড় অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেবে বলে মনে করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেছেন, ১৬০ টিরও বেশি দেশের অর্থনীতির গ্রাফটা এখনই ইতিবাচক বৃদ্ধি থেকে নেতিবাচক বৃদ্ধির রূপ নিয়েছে।
এই সঙ্কটের গভীরতা এবং সময়কাল সম্পর্কে আমরা এখনও অনিশ্চিত। তবে আমাদের অর্থনীতি যে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে সেটা আপনি পরের সপ্তাহেই বিশ্ব অৰ্থনীতির ফলাফলেই দেখতে পেয়ে যাবেন। ইতিমধ্যে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধির হার ২০২০ সালে তীব্রভাবে নেতিবাচক হয়ে উঠবে।”
পরের সপ্তাহে ২০২০ সালের ভার্চুয়াল স্প্রিং মিটিং-এর মূল বিষয় কোভিড-১৯ হবে এবং এই সংকটময় পরিস্হিতির মোকাবিলায় জর্জিভা আইএমএফের কাছ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে জানাবেন, বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বব্যাপী মহামন্দার পর থেকেই আমরা বিশ্বে অর্থনীতির দুরাবস্থার কথা বুঝে গেছিলাম। কিন্তু মাত্র তিন মাস আগে, ২০২০ সালে আমাদের সদস্য দেশগুলির মধ্যে ১৬০টি দেশে মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধির ইতিবাচক প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু আজ, এই সংখ্যাটি আমাদের চিন্তায় ফেলেছে। এখন যা পরিস্হিতি তাতে ১৭০টি দেশে এই বছর মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধি নেতিবাচক হয়ে দাঁড়াবে। ২০২১ সালের একটি আংশিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হওয়া সম্ভব কিন্তু তা একান্তভাবে নির্ভর করছে মহামারীর উপর। ততদিনে মহামারী কতটা নিয়ন্ত্রণে আসবে তা না জানলে কিছুই ভবিষ্যদ্বাণী করা যাবে না বলে তিনি জানান।
‘আমরা ধারণা করে নিতে পারি যে বাজারে মোট আর্থিক চাহিদা এবং যে উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থিনীতি ট্রিলিয়ন ডলার তারা কেবল তাদের অর্থনীতির কিছু অংশকেই কভার করতে পারবে কিন্তু সে ক্ষেত্রেও শত শত বিলিয়ন ডলারের চাহিদা অবশিষ্ট থাকবে। তাদের জরুরি সাহায্যর প্রয়োজন হবে’ বলে জানা্ন জর্জিভা।
এই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সেতু নির্মাণ করতে বলেন তিনি। সেখানে চারটি অগ্রাধিকার তুলে ধরা হয়েছে।
১. স্বাস্থ্যব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং সহায়তা অব্যাহত রাখা
২. ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ এবং বড় আর্থিক ব্যবস্থাসহ সংস্থাগুলিকে নিরাপত্তা দেওয়া
৩. আর্থিক ব্যবস্থার উপর চাপ কমানো
৪. পুনরুদ্ধার পর্বের জন্য পরিকল্পনা করা
তিনি বলেন, এই সংকটকালে তাদের সদস্য দেশগুলিকে যেভাবে সহায়তা করা যায় আইএমএফ তা করবে। এর মধ্যে ভালো খবরটি হ’ল যে, সমস্ত সরকার এই বিষয়ে একসাথে কার্যকরভাবে কাজ করেছে। এই কাজের ফলাফল ফিসকাল মনিটরে পরের সপ্তাহেই দেখা যাবে, বিশ্বজুড়ে দেশগুলি ইতিমধ্যে যে আর্থিক পদক্ষেপ নিয়েছে তা প্রায় আট ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। তিনি আরও বলেন, জি-২০ এবং অন্যান্য দেশগুলি প্রচুর আর্থিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, অনেক দরিদ্র দেশ যাদের আর্থিক ব্যবস্থা এই সময় বিপর্যস্ত, তারাও আর্থিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।