ব্যাবসা, বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের মেলবন্ধন! বাংলার পুরনো সংস্কৃতিকে ফেরাতে এক অভিনব উদ্যোগ রাজকুটির হোটেলের

রাজকুটির, IHCL SeleQtions কলকাতার বুকে এমন একটি হোটেল যা বরাবরই বাংলার সংস্কৃতিকে ধরে রেখে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে সবসময়। বিশেষ করে ‘রাজবাড়ি’র ঐতিহ্যকে সামনে রেখে নানান সময়ই নানান নতুনত্ব এনেছে নিজেদের হোটেল ব্যবসায়। এবার বাংলার নবজাগরণকে সামনে রেখে উনবিংশ শতাব্দীর পটভূমি তুলে ধরে নিজেদের অতিথিদের নতুন চমক দিতে চলেছে এই হোটেল কর্তৃপক্ষ।

নানান লোকগীতি ও লোকনৃত্যের মাধ্যমে ফের একবার বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে রাজকুটির। ছৌ থেকে শুরু করে বাউল গান ও রাইবংশী এমন নানান ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে অতিথিদের মনোরঞ্জনের উদ্যোগ নিয়েছে এই হোটেল কর্তৃপক্ষ।

রাজকুটির হোটেলের ম্যানেজার শ্রী অঙ্কুর গাইরোলা এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, “লোকগীতি ও লোকনৃত্যের মাধ্যমে আমাদের অতিথিদের সামনে বাংলার নবজাগরণকে তুলে ধরতে পেরে আমরা খুবই অভিভূত। IHCL SeleQtions সবসময়ই ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ভূমিকা নিয়েছে”।

ছৌ নাচ, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী নাচ যা মার্শাল আর্ট থেকে অনুপ্রাণিত। নানান রঙবেরঙের মুখোশ, ঢোলের তাল ও নানান শক্তিশালী চলন-চালনের দ্বারা এই নাচ করা হয়ে থাকে। ছৌ নাচের উৎপত্তি কলিঙ্গ (বর্তমান নাম ওড়িশা)থেকে। এটি এক ধরণের ক্লাসিক্যাল নাচ যা সমাজের নানান স্তরের মানুষকে একসূত্রে বেঁধে রাখার জন্য করা হত।

 

রাজকুটিরের পরবর্তী চমক হল বাউল গান। এই বাউল গান যে আমাদের রাজ্যের এক অতি পুরনো সংস্কৃতির মধ্যে একটা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গেরুয়া পোশাক ও গেরুয়া পাগড়ি পরিহিত গায়কিরা নিজেদের পরিবার ত্যাগ ছেড়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গান গেয়ে ঘুরতেন। তাদের গানের মাধ্যমে উঠে আসত শান্তির বার্তা। একতারা ও বাঁশি নিয়ে এই গান করা হয়।

এরপরের চমক হল রাইবংশী যা পশ্চিমবঙ্গের এক লুপ্তপ্রায় লোকনৃত্য বলা যেতে পারে। রাই মানে রাজকীয় আর বংশী মানে বাঁশ। বাঙালির প্রতাপ প্রতিপত্তি বয়ান করার জন্য এই নাচ করা হয়। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক সপ্তাহে এই তিন লোক সংস্কৃতির মধ্যে কোনও একটি অনুষ্ঠিত হয় এই রাজকুটির হোটেলে। আপনিও যদি পুরনো বাংলা ঐতিহ্যের স্বাদ গ্রহণ করতে চান তাহলে একবার অন্তত আপনাকে ঢুঁ মারতেই হবে কলকাতার এই হোটেলে।

Related Articles

Back to top button