এখন ইন্টারনেট মারফত দেওয়া যাবে সন্তানের জন্ম!পৃথিবীতে জন্ম নিল ‘ই বেবি’, ঘটনা শুনে হতবাক নেটিজেনরা
সন্তান পাওয়ার আকাঙ্খা বরাবরের। কিন্তু তার জন্য কোনো সম্পর্কে জরাতে নারাজ ছিলেন স্টেফনি টেলর। যে কারণে তার জন্য এক উপায় বার করে নিয়েছেন নিজেই। কিন্তু তার জন্য তিনি গর্ভধারণ কেন্দ্রের দ্বারস্থ হন নি। খবর অনুযায়ী ইন্টারনেট থেকে নাকি শুক্রাণু কিনেছেন এই মহিলা! শেষমেষ মা হওয়ার জন্য ইন্টারনেট থেকে শুক্রাণু কিনলেন ৩৩ বছরের স্টেফনি টেলর।
তবে কিভাবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল? প্রসঙ্গত সেই শুক্রাণু গর্ভে প্রবেশ করানোর পদ্ধতি ইউটিউব দেখে শিখেছেন স্টেফনি। এরপরে ই-বে থেকে কিনেছেন সমস্ত প্রজনন প্রক্রিয়ার দরকারি জিনিসপত্র। যুক্তি দিয়ে তিনি জানাচ্ছেন, “অনলাইনে যদি সমস্ত জিনিস পাওয়া যায়, তখন সন্তান ধারণে কিসের সমস্যা!” দশ মাস পরে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্টেফনি।
যুক্তি দিয়ে তিনি যা দেখিয়েছেন, তাতে ভুল প্রমাণিত হন নি এই মহিলা। যদিও তাঁর কাহিনী শুনে হতবাক হয়েছেন অনেকেই। এদিকে স্টেফনি নিজের কন্যার নাম রেখেছেন ইডেন। সঙ্গে পরিচিতিরা তাঁদের এই সম্পর্কের নাম দিয়েছেন ‘ই-বেবি’। অনলাইনে লেনদেন কেনাকাটা ও বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে জন্ম হয়েছে ইডেনের। কাহিনী শুনে আবার অনেকের মনে হয়েছে, এই সন্তানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে অনলাইনের বিষয়-আশয়। তাই তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ই-সন্তান’।
এদিকে তাঁর এই গর্ভধারণের প্রক্রিয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন গর্ভধারণ কেন্দ্রে না গিয়ে কেন তিনি এই পদ্ধতি গ্রহণ করলেন? তার উত্তরে স্টেফনি জানিয়েছেন, প্রথমে বিকল্পটি ভেবে দেখেননি তা নয়। কিন্তু প্রথমদিকে গর্ভধারণ কেন্দ্রে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। তাতে তাঁরা যা মূল্য চেয়েছিলেন, তার জন্য বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন স্টেফনি। ইতিমধ্যেই তাঁর পাঁচ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাতে গোটা বিষয় বন্ধুকে জানাতেই, এই জিনিসের কথা জানতে পারেন।
সেই বন্ধু মারফত সমস্ত প্রক্রিয়ার কথা জানে স্টেফনি। যে অ্যাপ দরুন তিনি কাজটি করেছেন সেখানে, সমস্ত তথ্য রয়েছে শুক্রাণু দিতে ইচ্ছুক পরিবারের। এমনকি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যও পাওয়া যাবে তাতে।
স্টেফনি চেয়েছিলেন তাঁর সন্তান হবে, তাঁরই মত দেখতে। তাই তিনি এমন কাউকে খুঁজছিলেন, যার শারীরিক গঠনের সঙ্গে তাঁর মিল রয়েছে। একইসঙ্গে স্বভাবের থেকেও পরিবারমুখী মানুষ চেয়েছিলেন স্টেফনি। তাই পেতে তার সময় লাগে। কিন্তু প্রথম চেষ্টাতেই সফল হন।
এই ব্যাপারে স্টেফনি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ির সদস্যরা এতে প্রথমে রাজি হননি। কিন্তু ইডেনের জন্মের পর তাঁরা এখন খুশি। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টাতেই ইডেনের জন্ম দিয়েছেন স্টেফনি। তাঁর এই সাহসী পদক্ষেপের জন্য তাঁর পরিবার যথেষ্ট খুশি এখন। পাশাপাশি যেকোনো কাজেই খারাপ ভালো থেকে থাকে। সেরকমভাবে এই কাজেও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। আবার অনেকে ৩৩ বছর বয়সী এই মহিলার প্রশংসা করেছেন।