হৃদয়বিদারক! মৃত্যু পথযাত্রী মায়ের শেষ ইচ্ছাপূরণ করতে হাসপাতালের আইসিইউ-র সামনেই বিয়ে মেয়ের, বিয়ের দু’ঘণ্টা পরই মৃত্যু মায়ের

সংকটজনক অবস্থায় থাকা মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল যে তিনি মেয়ের বিয়ে দেখবেন। সেই কারণে হাসপাতালেই বিয়ে সারলেন মেয়ে। মেয়ের বিয়ে দেখার দু’ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মা। মায়ের পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গেই বিয়ে হল মেয়ের। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গয়ার এক হাসপাতালের আইসিইউ-এর সামনে।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন লালন কুমারের স্ত্রী পুনম কুমারী বর্মা। চিকিৎসকের তরফে তাঁর পরিবারকে জানিয়ে েওওয়া হয়েছিল যে তাঁর অবস্থা খুবই সংকটজনক। যে কোনও মুহূর্তে অঘটন করতে ঘটতে পারে।
নিজের এমন অবস্থাতেই পুনম পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে মৃত্যুর আগে তিনি মেয়ে চাঁদনীর বিয়ে দেখে যেতে চান। ২৬শে ডিসেম্বর চাঁদনীর সঙ্গে সালেমপুরের বাসিন্দা সুমিতের আশীর্বাদ হওয়ার কথা ছিল।
মায়ের শেষ ইচ্ছার কথা জানানো হয় পাত্র সুমিতের পরিবারকে। শেষমেশ দুই পরিবারের সম্মতিতেই হাসপাতালেই বসে বিয়ের আসর। কোনও রকমের আড়ম্বর ছাড়াই বিয়ে সম্পন্ন হয় চাঁদনী ও সুমিতের। সকলে আশীর্বাদ করেন নবদম্পতিকে।
চাঁদনী জানান যে তাঁর মা একজন নার্স ছিলেন। করোনা আক্রান্ত রোগীদের দিনরাত সেবা করেছিলেন তিনি। তবে করোনা আসার পর থেকেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। করোনার পরবর্তী সময় তাঁর হার্টের রোগ ধরা পড়ে। চাঁদনীর বিয়ের দু’ঘণ্টা পরই মৃত্যু হয় তাঁর মায়ের।