মানবিকতার পরিচয়! আর্থিক অনটনের কারণে সাইকেল চালিয়েই বাড়ি বাড়ি খাবার ডেলিভারি করতেন যুবক, বাইক কিনে উপহার দিল পুলিশ

পিঠে একটা খাবার ডেলিভারি করার ব্যাগ আর পা সাইকেলের প্যাডেলে। প্রতিদিন জোরকদমে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি বাড়ি খাবার ডেলিভারি করতেন যুবক। গ্রাহকের বাড়িতে সঠিক সময়ে খাবার পৌঁছতে গেলে সাইকেলে গতি তো রাখতেই হবে। তাই যতটা জোরে সম্ভব চলত তাঁর প্যাডেল।
গত সোমবার রাতে রাস্তায় টহল দেওয়ার সময় ওই যুবককে দেখেন মধ্যপ্রদেশের বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক তেহজিব কাজির। যুবকটিকে দেখে খুব মায়া হয়েছিল তাঁর। ঘেমেনেয়ে যাওয়া যুবকটিকে কৌতূহলবশত দাঁড় করান তিনি। জিজ্ঞাসা করার পর জানতে পারেন তাঁর নাম জয় হালদে।
জয় জানান যে তাঁর পরিবারে আর্থিক অনটন। গোটা পরিবার চালানোর দায়িত্ব তাঁরই উপর রয়েছে। কিন্তু গ্রাহকের কাছে তো সঠিক সময়ে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। সেই কারণে সাইকেলে গতির দরকার। তাই জোরে জোরে প্যাডেল চালানো।
ওই পুলিশ আধিকারিক ওই যুবককে প্রশ্ন করেন যে সাইকেল নিয়ে সঠিক সময়ে খাবার পৌঁছে দিতে পারেন তিনি। প্রশ্ন শুনে একটু ম্লান হাসি ফুটে ওঠে জয়ের মুখে। সেই হাসিমুখ নিয়েই তিনি জানান, “সংসার টানতেই সব টাকা খরচ হয়ে যায়। তার পরে বাইক কেনার স্বপ্ন তো অলীক”।
যুবকের কথাগুলো যেন তীরের মতো বিঁধেছিল ওই পুলিশ আধিকারিকের বুকে। এরপরই তিনি স্থির করেন যে জয়কে একটি বাইক কিনে দেবেন তিনি। যেমন কথা, তেমন কাজ। এরপরই নিজে ও সহকর্মীদের আর্থিক সহযোগিতায় জয়কে কিনে দেওয়া হয় একটি বাইক।
থানায় জয়কে ডেকে সেই বাইক তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশের থেকে এমন উপহার পেয়ে জয়ের মুখের হাসিটা যেন আরও একটু চওড়া হয়ে উঠেছিল। জয় জানান যে আগে সাইকেল নিয়ে যেখানে তিনি দিনে ৫-৬ প্যাকেট খাবার ডেলিভারি করতেন, এখন সেই জায়গায় ১৫-২০ প্যাকেট খাবার ডেলিভারি করতে পারেন। পুলিশ আধিকারিক তেহজিব কাজি ও তাঁর সহকর্মীদের কাছে তিনি খুবই কৃতজ্ঞ বলে জানান জয়।