‘২৩শে জানুয়ারি জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিন’, ‘২৩শে জানুয়ারি স্বাধীনতা দিবস’, নেতাজিকে ভুলতে বসেছে খোদ শহরবাসী, ভিডিও সামনে আসতেই মাথা হেঁট বাঙালির

ছোটবেলা থেকেই নানান বইতেই আমরা আমাদের দেশের নানান মনীষীদের কথা পড়ে থাকি। তাদের কর্মকাণ্ড, দেশের জন্য তাদের আত্মত্যাগ, তাদের চিন্তাধারা উদ্বুদ্ধ করে আমাদের। তাদের সম্পর্কে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশ ও জাতির সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করি আমরা।
ব্রিটিশ রাজ থেকে ভারতকে স্বাধীন করার জন্য লড়েছিলেন নানান নায়করা। তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের আত্মত্যাগের কথা ভুলে যাওয়ার নয়। তাদের পরিশ্রম, রক্তই ব্রিটিশদের অত্যাচার থেকে আমাদের মুক্ত করে দেশে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।
আর স্বাধীনতা সংগ্রামী বললেই প্রথমেই আমাদের ভাবনায় আসেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তিনিই প্রথম ব্রিটিশ স্তম্ভকে গোড়া থেকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। গতকাল, রবিবার ছিল সেই দেশনায়কেরই জন্মবার্ষিকী। গোটা দেশে পালিত হয় নেতাজির জন্মদিন।
কিন্তু শহর কলকাতায় একটু অন্যরকমের চিত্রই দেখা যায়। এক ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে যে শহরবাসী হয়ত নেতাজিকে ভুলতে বসেছে। তাঁর আত্মত্যাগের প্রতিদান যে মানুষ এভাবে দেবে, তা হয়ত সত্যিই ভাবা যায় নি।
কলকাতার একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটার তথা ইউটিউবার প্রিয়ম ঘোষ নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি ভিডিও বানান। এই ভিডিওতে তাঁকে শহরের নানান মানুষকে কিছু প্রশ্ন করতে দেখা গিয়েছে। নেতাজিকে নিয়েই কিছু প্রশ্ন করেন তিনি। কিন্তু যে সমস্ত উত্তর মিলল, তাতে বাঙালির মাথা হেঁট হয়ে যাওয়ারই কথা।
এই ভিডিওতে প্রিয়ম প্রশ্ন করেন যে ২৩শে জানুয়ারির বিশেষত্ব কী! এর উত্তরে কেউ জানান যে ২৩শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস, তো কেউ আবার বলেন এদিন জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিন।
শুধু তাই-ই নয়, নেতাজিকে নিয়ে নানান মানুষ নানান অদ্ভুত দাবীও করেন। কারোর মতে, নেতাজি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, আবার কেউ বলেন তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কেউ তো আবার এও বলেন যে নেতাজি দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
মানুষের এমন জবাব শুনে বেশ হতবাক হয়ে যা প্রিয়মও। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। নেতাজির মতো একজন আইডল মানুষ ও তাঁর আত্মত্যাগের কথা কলকাতার মানুষ এভাবে ভুলে যেতে বসেছে, তা সত্যিই খুবই লজ্জাজনক।