মায়েরা সব পারেন! বছর খানেকের সন্তানকে কোলে নিয়েই টোটো চালাচ্ছেন মহিলা, কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে
প্রত্যেক মায়ের কাছেই নিজের সন্তান সবথেকে বড় সম্পদ। এই পৃথিবীতে একজন মা যতটা নিজের সন্তানকে ভালোবাসেন, ততটা আর কেউ ভালোবাসে না। একজন মা তাঁর সন্তানের জন্য সবকিছু করতে পারে। সন্তানের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য মা সবরকম কষ্ট সহ্য করতে পারে। ফের একবার সেরকমই এক নিদর্শন দেখা গেল।
মাঝে মধ্যেই আমাদের সামনে এমন কিছু ঘটনার নিদর্শন আসে, যা আমাদের বেশ অবাক করে। কিছু কিছু ঘটনা আমাদের মনে জায়গা করে নেয়। এমন একটি ঘটনাই ফের আমাদের সামনে এসেছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী এক মহিলা চঞ্চল শর্মা তিনি টোটো চালান। কিন্তু সেটা চমকে দেওয়ার বিষয় নয়। চঞ্চল টোটো চালান তাঁর এক বছরের পুত্রসন্তানকে কোলে নিয়ে।
চঞ্চল নয়ডা সেক্টর ৬২-তে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যালস থেকে সেক্টর ৫৯-এর লেবার চকের রুট পর্যন্ত টোটো চালান। জানা গিয়েছে, তিনি ছাড়া ওই ৬.৫ কিলোমিটার পথে আর কোনো মহিলা এই কাজ করেন না। চঞ্চল জানান যে অঙ্কুশের জন্মের পর তিনি চাকরি খুঁজতে শুরু করেন। অবশেষে তিনি টোটো চালাতে শুরু করেন।
চঞ্চল আরও জানান যে তাঁর টোটোতে বসে সমস্ত যাত্রীই তাঁর প্রশংসা করেন। চঞ্চলের কথায়, “যাত্রীরা আমার প্রশংসা করেন। কারণ আমি নিজেই সবকিছু সামলাচ্ছি। মহিলারা আমার টোটোতে বসতে পছন্দ করেন”।
জানা গিয়েছে, National Institute of Open Schooling থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন চঞ্চল। এখন তাঁর স্বামীর কাছ থেকে আলাদা থাকেন তিনি। এই প্রসঙ্গে চঞ্চল জানান যে অঙ্কুশকে একা ছেড়ে যেতে তিনি পারেননি। তিনি বলেন, “আমার মা পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আর ভাই বাড়িতে থাকে না। তাই আমি যখন গাড়ি চালাই, তখন আমি আমার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে যাই”।
চঞ্চল জানান যে তিনি মাঝে মাঝে তাঁর সন্তানকে মায়ের কাছে বা বোনেদের কাছে রেখে আসেন। বেশিরভাগ সময়টাই অঙ্কুশ তাঁর সঙ্গেই থাকে। জানা গিয়েছে, দৈনিক ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করেন তিনি। এর মধ্যে প্রাইভেট এজেন্সিতে ৩০০ টাকা যায়।