
শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি দিনদিন আরও খারাপ হচ্ছে। উন্নতির কোনও চিহ্নই যেন নেই। জ্বালানি থেকে শুরু করে ওষুধ-খাদ্যদ্রব্যের সংকট। ভারতের এই প্রতিবেশী দেশে শোচনীয় অবস্থা। এমন আবহে নিজের থেকে উঠে দাঁড়ানোর মতো অবস্থা নেই এই দ্বীপরাষ্ট্রের। অন্যান্য দেশ থেকে সাহায্য নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। দেশের মানুষও এই কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের।
সম্প্রতি নিজের টুইটারে একটি পোস্ট করেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার রোশন মহানামা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পেট্রোল পাম্পে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সেবা করছেন তিনি। বিশ্বকাপজয়ী এই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার টুইটে লেখেন, “আমরা এই সন্ধ্যায় কমিউনিটি মিলের অধীনে ওয়ার্ড প্লেস এবং উইজেরামা মাওয়াথার পেট্রোল পাম্পের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের চা ও পাঁউরুটি দিচ্ছি। যতদিন যাচ্ছে, তত বাড়ছে এই লাইন এবং এই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় মানুষের শরীরে একাধিক সমস্যাও হচ্ছে”।
We served tea and buns with the team from Community Meal Share this evening for the people at the petrol queues around Ward Place and Wijerama mawatha.
The queues are getting longer by the day and there will be many health risks to people staying in queues. pic.twitter.com/i0sdr2xptI— Roshan Mahanama (@Rosh_Maha) June 18, 2022
জ্বালানি প্রায় নিঃশেষ হয়ে আসছে শ্রীলঙ্কাতে। এই কারণে জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য ২ সপ্তাহ দেশের সমস্ত স্কুল ও অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শ্রীলঙ্কান প্রশাসন। মানুষের যাতায়াত কম হলে, জ্বালানিও বাঁচবে, এটাই আশা সরকারের।
রোশন মহানামা বলেন, “দয়া করে জ্বালানির লাইনে সবাই একে অপরের পাশে দাঁড়ান। আপনি যদি অসুস্থ থাকেন তাহলে লাইনে দাঁড়ানোর আগে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার এবং ওষুধ নিয়ে আসুন। সমস্যা হলে পাশের মানুষকে জানান। এই কঠিন সময়ে আমাদের সবাইকে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে”।
গত এপ্রিলে এই দ্বীপরাষ্ট্রের বিদেশী ঋণ ছিল ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতের তরফে খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধ সরবরাহ করে সাহায্য করা হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে। এছাড়াও, অন্যান্য নানান দেশের সাহায্য পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
বলে রাখি, ১৯৬৬ সালের ৩১শে মে কলম্বোতে জন্মগ্রহণ করেন রোশন মহানামা। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৫২ টেস্ট এবং ২১৩টি ওডিআই খেলেছেন তিনি। ওডিআইতে ৪টে শতরান ও ৩৫টি অর্ধশতরান রয়েছে রোশন মহানামার। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপের পর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি। এছাড়াও ICC-র হয়ে করেছেন আম্পায়ারিংও। রোশন মহানামাই হলেন প্রথম আম্পায়ার, যিনি প্রথম দিন রাতের টেস্টে আম্পায়ারিং করেছিলেন।