সৌদি আরবের পর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্ক নিম্নগামী।
কয়েক মাস আগে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্য মানতে রাজি না হওয়ায় রিয়াধের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়েছিল ইসলামাবাদের। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তা আরও বৃদ্ধি পায়। আর এই ঘটনার জেরে ইমরান খানের কাছ থেকে যথেষ্ট কড়া ধমক খেতে হয় কুরেশিকে।
আর সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পর থেকেই গলা অবধি ঋণে দিনে ডুবে থাকা পাকিস্তানকে বকেয়া ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ফেরত দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে চাপ দিতে থাকে সৌদি আরব। সেই টাকা যখন প্রায় শোধ হওয়ার মুখে ঠিক সেসময়ই একই চাপ দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। পাকিস্তানের কাছ থেকে প্রাপ্য বকেয়া টাকা চেয়ে নিল তাঁরা। এর ফলে ইমরান খানের সরকারের অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী সৌদি আরব-কে দুটি কিস্তিতে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মেটানোর পর সবে শেষ দফার এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার জোগাড়ের চেষ্টা করছিল পাকিস্তান। ঠিক সেই মুহূর্তেই ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে দেওয়া ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ফেরত চাইল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE)। আগামী ২৪শে জানুয়ারি ওই এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার মেটানোর কথা রয়েছে বলে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর। বিষয়টি নিয়ে ইসলামাবাদ চাপে পড়লেও কোনও মন্তব্য করছে না।