জর্জ ফ্লয়েড খুনে উত্তাল আমেরিকা! প্রতিবাদের কন্ঠ রোধে জারি কার্ফু!
করোনার আক্রমনে বিশ্বে সবথেকে বেশি বিপর্যস্ত আমেরিকা। এরই মধ্যে এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকা। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকরা। ওয়াশিংটন ডিসি-র মেয়র মুরিয়েল ব্রাউসার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্ফু জারি করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের মধ্যেই উত্তাল আমেরিকা। পুলিশের কাস্টডিতে থাকা অবস্থায় কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকা। ওয়াশিংটন ডিসি-র রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শয়ে শয়ে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক। আমেরিকার প্রায় ১৩টি শহরে জারি করা হয়েছে কার্ফু। ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিেয়ল জানিয়েছেন রবিবার রাত ১১টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারি হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১টি শহরে জারি করা হয়েছে কার্ফু। এর মধ্য ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়াও মিনিয়োপোলিস, নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, আটলান্টা, মিয়ামি, পোর্টল্যান্ড, সান ফ্রান্সিস্কো রয়েছে।
জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিককে গ্রেফতারের পর তাঁকে মাটিতে ফেলে ঘাড়ের উপর চেপে বসেন এক পুলিশ। শ্বাস নিতে পারছি না বলতে বলতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই নাগরিক। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই উত্তাল ওঠে আমেরিকা। তার পরেই জর্জের শেষ শব্দ ‘আই কান্ট ব্রিথ’ স্লোগান দিেয় আমেরিকার বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নামেন অসংখ্য কৃষ্ণাঙ্গ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। এমনকী বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিস গাড়ি চািলয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
এদিকে একের পর এক হুমকি দিয়ে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিক্ষোভকারীদের সমাজবিরোধী জঙ্গি বলেও দাগিয়েছেন তিনি। যদিও ফ্রয়েডের মৃত্যুতে শোক প্রকাশও করেছেন। বিক্ষোভ ঠান্ডা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিকে সামনেই এগিয়ে আসছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই বিক্ষোভকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করতে পারে ডেমোক্র্যাটরা। ইতিমধ্যেই জো বিডন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।