ইতিহাস গড়েছে ইসরোর চন্দ্রযান – ২। এবারে মেনে নিলো ইউরোপিয়ান স্পেস এজিন্সিও।

এখনও অবধি ৯৫% সফলতা পেয়েছে ভারতের ইসরোর চন্দ্রযান – ২ অভিযান। অরবিটার সঠিক ভাবে কাজ করে চাঁদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠিয়ে চলেছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের নিকট। বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ না করা গেলেও তা অক্ষত অবস্থায় ছুঁয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি৷ সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তির এই চন্দ্রযান – ২ অভিযান তাই পুরোপুরি সফল না হলেও সারা বিশ্বের বিভিন্ন স্পেস ওরগানাইজেশনগুলো ইসরোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে৷ নাসার পর এবারে ইউরোপও ইসরোর প্রশংসায়।
Check out best Bengal Football website
২০১৮ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজিন্সের তরফেও একটি চন্দ্র অভিযানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মিশনটির নাম ছিল ‘লুনার ল্যান্ডার মিশন’। কিন্তু প্রয়োজনীয় টাকার অভাবে তা আর সম্পূর্ণ করা যায়নি। মিশন সম্পূর্ণ না হলেও সেসময় চাঁদের বিভিন্ন জটিল বিষয়গুলো নিয়ে অনেক পর্যবেক্ষণ করেছিল সেই সংস্থাটি। আর সেই পর্যবেক্ষণ থেকে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইসরোর চন্দ্রযান – ৩ এর প্রংশসা করে জানালো যে, “ইসরোর চন্দ্রযান – ২ যতোটা পেরেছে ততোটাই ইতিহাস।”
কারণ হিসেবে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তরফে জানানো হয় যে, চাঁদের দক্ষিণ মেরু মানুষের কাছে সম্পূর্ণ ভাবে অচেনা একটি জায়গা। এই স্থানের ধূলিকণাগুলোর সঙ্গে সূর্যের মহাজাগতিক রশ্মির সংস্পর্শে উৎপন্ন হয় বিদ্যুৎ। এবং সেই বিদ্যুৎ থেকে উৎপন্ন হয় তরঙ্গ, যা সৃষ্টি করে ধূলিঝড়ের। সেই ঝড়ের মাঝে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি স্পর্শ করা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। শুধু তাই নয় ল্যান্ডিং এর সময় ধূলিকণায় থাকা বিদ্যুৎ ল্যান্ডারের যন্ত্রাংশ খারাপও করে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউরোপের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। যার ফলে ল্যান্ডার বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ইসরোর ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে এমনটিই হয়েছে বলে ধারণা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সিট বৈজ্ঞানিকদের। তাই তাঁরা অকপটে ইসরোর প্রশংসা করে বলেছেন যে, ইসরোর চন্দ্রযান – ২ চাঁদের সেই দুর্গম প্রান্তে যতোটা পৌঁছাতে পেরেছে সেটাই ইতিহাস। কারণ চাঁদের দুর্গম দক্ষিণ মেরুতে অভিযান মোটেই সহজ ব্যাপার নয়৷