আন্তর্জাতিক

চীনের দাদাগিরি রুখতে বদ্ধপরিকর জো বাইডেনের আমেরিকাও! স্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে জানালো হোয়াইট হাউস

চীন-পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজের শাসনকালে যথেষ্ট কড়া মনোভাব দেখিয়েছিলেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার ইতিহাসে গদি পরিবর্তন হয়েছে। শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে ডেমোক্র্যাটদের। জো বাইডেন- কমলা হ্যারিসের সরকার প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তায় মিল দেখা যাচ্ছে।

চীনের সঙ্গে আমেরিকার নিরন্তর বিবাদ বিশ্বের কাছে সুপরিচিত। চীন-পাকিস্তান এই দুই দেশের সন্ত্রাসবাদ ও বিস্তারবাদী  কার্যকলাপের বরাবর বিরোধিতা করেছে আমেরিকা।

আর এবার মার্কিন মসনদে ক্ষমতা বদলের পর‌ও রাজউকের পূর্বাতল শাসকের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে বর্তমান। শাসনভার হাতে নিয়েই নিজের ‘চীন নীতি’ সাফ করে দিয়েছেন বাইডেন। সোমবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, অর্থনৈতিক মঞ্চে চীনের দাদাগিরি রুখতে বদ্ধপরিকর মার্কিন মুলুক।

এক সাংবাদিক সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন, “বিগত কয়েক বছর থেকে চীন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিক থকে বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটি। আমরা বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক মঞ্চে চীনের ক্ষমতার অপব্যবহার রুখে দেব। এই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, মিত্র দেশগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে বেজিংয়ের মোকাবিলা করা হবে। বর্তমানে চীনা পণ্যের উপর যে শুল্ক রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে সেই পণ্যগুলির উপর বর্ধিত হারে শুল্ক চাপানো হতে পারে।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “চীন সরকার আমেরিকার শ্রমিকদের ক্ষতি করছে। প্রযুক্তিগতভাবে আমাদের ধার ভোঁতা করে দিচ্ছে দেশটি।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউস থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসন শেষ হ‌ওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন চীনের প্রতি কিছুটা হলেও কাঠিন্য কমাবেন জো বাইডেন। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢাললো ওয়াশিংটন। সম্প্রতি, তাইওয়ান নিয়েও জিনপিং প্রশাসনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। দিন তিনেক আগে তাইওয়ান সীমানার খুব কাছে ঢুকে পড়েছিল কয়েকটি চীনা ফাইটার জেট।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button