লকডাউন জারি করেও কোনও লাভ হচ্ছে না, হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, চীনে কী তবে মৃত্যু মিছিল শুরু?
রোখা যাচ্ছে না করোনা ভাইরাসকে। চীনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এক বছরেরও বেশি সময় পর প্রতিবেশী দেশে করোনায় প্রাণ গেল দুই ব্যক্তির। বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশে এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২০ সালের গোড়া থেকে এই চীন থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল মারণ ভাইরাস কোভিড-১৯। গোটা বিশ্ব যখন এই ভাইরাসে জর্জরিত, সেই সময় চমকপ্রদভাবেই শি জিনপিংয়ের দেশে করোনার প্রকোপ কমে যায়। তবে এবার ফের সেদেশে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। একের পর এক প্রদেশে জারি করা হয়েছে লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার চীনে করোনায় মৃত্যু হল দু’জনের।
ন্যাশানাল হেলথ কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জিলিন প্রদেশে করোনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, করোনার নতুন ঢেউয়ে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চীনের এই প্রদেশ। ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে প্রথম চিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। এখনও পর্যন্ত চীনে করোনা মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৮ জনের।
চীনে কার্যত আগুনের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। প্রতিবেশী এই দেশে আজ, শনিবার করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫১ জন। তবে গতকালের তুলনায় আজ আক্রান্তের সংখ্যা কম। গতকাল, শুক্রবার করোনা ভাইরাসে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৩৬৫ জন। করোনার বিরুদ্ধেলরতে চীনে জিরো টলারেন্স নীতি আরোপ করা হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, করোনার ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএ ২ আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ছে চীনে। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউন জারি করে ৯০ লক্ষ মানুষকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। আর এসবের মধ্যেই কালো মেঘ দেখছেন ভারতীয়রা। প্রতিবেশী দেশের জেরে ফের একবার করোনার ঢেউ ভারতে আছড়ে পড়তে পারে কী না, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
এই বিষয়ে ডঃ এনকে আরোরা জানান, “ভারতের ৭৫ শতাংশ জনসংখ্যা বিএ ২-তে আগেই আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে এই ভ্যারিয়্যান্ট নতুন করে ভারতে করোনার ঢেউ বয়ে আনতে পারবে না। তবে নতুন কোনও ভ্যারিয়্যান্ট সামনে এলে ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে”। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের তরফে করোনা নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।