করোনার থাবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ১দিনে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়ালো

করোনার ভয়াবহতা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে, যা কার্যত স্তব্ধ করে দিয়েছে গোটা মানব জাতির গতি। এই অবস্থা থেকে বেরোতে সব দেশই কার্যত নিজেদের লক-ডাউনের পথে নিয়ে যাচ্ছে। নিউ ইয়র্কে গত তিন ধরে লকডাউন চলছে। শহরের মেয়র বিল দ্য ব্লাসিয়ো জানান, মাস্ক ও চিকিৎসার অন্যান্য সরঞ্জাম বিক্রি করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সাহায্য চেয়ে সেনাবাহিনী পাঠাতে বলেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭১। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ছিল সব থেকে ভয়ঙ্কর, প্রায় ১০০-রও বেশি। নিউ ইয়র্ক ছাড়াও এই মুহূর্তে লক-ডাউনের আওতায় শিকাগো ও লস অ্যাঞ্জেলেসও। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাগরিকদের আবেদন জানিয়েছেন বাড়িতেই থাকার। এছাড়াও তিনি বলেছেন, ‘এটা জাতীয় ত্যাগ স্বীকারের আদর্শ সময়। ভালবাসার লোকজনকে যত্নে রাখারও সময়। আমরা জয় করবই’।
অন্যদিকে করোনা-পজিটিভ রিপোর্ট এলো জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের চিকিৎসকের। শুক্রবার নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসক। কিন্তু পরবর্তীতে সেই চিকিৎসকের করোনা ধরা পড়ে। এর পর থেকেই স্বেচ্ছা গৃহবন্দিদশায় চলে যান তিনি। রবিবার তাঁর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক দিন বাড়িতে থেকেই কাজকর্ম করবেন চ্যান্সেলর।
চাপ বাড়ছে স্পেনেও। সকাল থেকে স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। করোনা-সঙ্কটের জেরে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও বাড়ানোর কথা ভাবছেন তাঁরা। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মৃত্যুর হার বেড়েছে ৩০ শতাংশ। ইউরোপে ইটালির পরে সবে চেয়ে ভয়াবহ দশা স্পেনেই। গোটা ইউরোপে আক্রান্তের সংখ্যা এখন প্রায় দেড় লক্ষ। প্রথম বিশ্বের দেশগুলির এই মৃত্যু মিছিল দেখে ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি উদ্বিগ্ন। প্রথম বিশ্বের দেশগুলি এত উন্নত হওয়ার পরও শুধু মাত্র সচেতনতার অভাবে আজ মৃত্যুর দোরগোড়ায়। এরপরও ভারতের মতো দেশগুলোতে সচেতনতা বিন্দুমাত্র বাড়ছে না। শুধু কী লক-ডাউন ঘোষনাতেই সব রোগ প্রতিরোধ সম্ভব!