‘দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারিনি, নতুন পাকিস্তান গড়তে পারিনি’, দেশবাসীর সামনে নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করলেন ইমরান খান
পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার যে স্বপ্ন দেশবাসীকে দেখিয়েছিলেন, তা পূরণ করতে পারেন নি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশবাসীর সামনে নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিলেন তিনি। আর এই ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানের সিস্টেমকে দোষারোপ করলেন ইমরান।
ঋণজর্জরিত পাকিস্তানে পরিবর্তন আনার আশ্বাস দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল ইমরানের দল পিটিআই। কিন্তু চার বছর হতে না হতেই তাঁর নিজের মুখেই শোনা গেল ব্যর্থতার কথা। নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে কী তবে হাল ছেড়ে দিতে চাইছেন ইমরান? এমন প্রশ্নও উঠেছে।
দেশের সবচেয়ে সফল দশটি মন্ত্রক ও দফতরের পুরস্কার প্রদানের মঞ্চে ইমরান যে বক্তব্য রাখলেন, তাতে পাকিস্তানের অভ্যন্তর তো বটেই এরই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলেও নানান গুঞ্জন শুরু হয়েছে প্রাক্তন খেলোয়াড়কে নিয়ে।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ইমরান বলেন, “ক্ষমতায় এসে শুরুতেই আমি দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে বুঝতে পারি, আমলাতন্ত্র সেই বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ধাক্কা নিতে পারছে না”। তাঁর দাবী, সরকার ও দেশের ভাল কীভাবে হয় তার মধ্যে কোনও সংযোগ নেই। পাক মন্ত্রীরা ভাবেন না কীভাবে দেশে দারিদ্র দূরীকরণ করা যায়। রফতানি বাড়িয়ে আর্থিক উন্নতি করা যায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাক ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট পাক সংসদে ইমরান খান সরকারের উপর শীঘ্রই অনাস্থা প্রস্তাব আনবে। ইমরানের বিরুদ্ধে সবথেকে বড় অভিযোগ হল যে প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেন নি পাক প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতি রোধ ও থমকে যাওয়া আমলাতন্ত্রে জোয়ার আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন পাকিস্তানবাসীদের।
কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি ইমরানের দল। এদিকে, তেল ও বিদ্যুতের আকাশছোঁয়া দামের জেরে পাকবাসীরা অতিষ্ঠ। তাছাড়া মুদ্রাস্ফীতিতেও লাগাম টানতে পারেনি ইমরান সরকার। আন্তর্জাতিক স্তরে ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে। পাক অর্থনীতির অবস্থা আরও বেশি বেহাল হয়েছে বলে দাবী বিরোধী দল পিপিপি-র।