আন্তর্জাতিক

উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় শত্রু আমেরিকা! নতুন মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে চাপে ফেলে সদর্পে ঘোষণা কিমের

রাষ্ট্রপতি পদে যেই থাকুন না কেন, উত্তর কোরিয়ার সবথেকে বড় শত্রু যে আমেরিকাই, তা সর্বসমক্ষে স্বীকার করলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। সম্প্রতি পিয়ংইয়ং-এ আয়োজিত হয় কিমের ওয়ার্কার্স পার্টির একটি সম্মেলন। এই সম্মেলনেই আমেরিকাকে নিজের দেশের বৃহত্তম শত্রু বলে আখ্যা দিলেন কিম।

এদিন সম্মেলনে কিম পরমানু অস্ত্র ভাণ্ডার ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধির বিষয়ে জোর দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এও জানান যে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির পরিকল্পনাওপ্রায় শেষ পর্যায়। আসলে, নতুন মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে খানিকটা চাপের মধ্যে রাখতেই কিম পরমানু অস্ত্র সম্ভার ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। আগামী ২০শে জানুয়ারি আমেরিকার নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন জো বাইডেন।

আমেরিকার বিদায়ী রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং-উনের সম্পর্ক বেশ ভালোই ছিল। এই কারণেই উত্তর কোরিয়ার পরমানু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কড়া কোনও পদক্ষেপ করেননি ট্রাম্প। কিন্তু এবার নতুন রাষ্ট্রপতি এই দেশের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন না নেন, তার আগেই তাঁকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে কিম। অন্তত, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের তাই-ই মত।

তবে কিম এও জানিয়েছেন যে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যদি কেউ আক্রমণ না শানায়, তবে তিনিও পরমানু অস্ত্র প্রয়োগে বিশ্বাসী নন। কিন্তু এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন, “আমাদের সংগ্রামের পথে বৃহত্তম বাধা ও শত্রু হল আমেরিকা, তা যে-ই ক্ষমতায় আসুন না কেন। উত্তর কোরিয়ার প্রতি ওদের নীতি কখনও পালটাবে না”।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কিম স্বীকার করেছেন যে তাঁর পঞ্চবার্ষিকী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কোনও খাতেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছয়নি। গত বছরের প্রথম থেকেই অতিমারির কারণে বন্ধ ছিল উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত।

অন্যদিকে, পিয়ংইয়ং দাবী করে যে করোনা অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকে সেই দেশে একজন করোনা রোগীরও সন্ধান মেলেনি। কিন্তু এই তত্ত্ব মেনে নিতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। সীমান্ত পার করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে লিপ্ত উত্তর কোরিয়া। ফলে করোনা সংক্রমণ আটকানো যে কোনও দেশের পক্ষেই অসম্ভব ব্যাপার।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button