মৃত্যুই ডেকে আনল মৃত্যুকে, আত্মহননের পথ বেছে নিলেন এক চিকিৎসক
করোনার ত্রাসে কম্পমান গোটা বিশ্ব। কত হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। করোনার গ্রাসে সব থেকে বেশি বিপর্যস্ত দেশ আমেরিকা। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ এবং মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫৭ হাজার মানুষের। রোজ রোজ শয়ে শয়ে লোক মারা যাচ্ছেন প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শ্মশানপুরীর এই দৃশ্য যে রাতারাতি পাল্টে যাবে সেই আশাও নেই। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলাতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন মার্কিন মুলুকের এক চিকিৎসক। অন্তত তাঁর পরিবার এমনটাই দাবি করছেন। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ওই চিকিৎসক নিজেও করোনা আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু রোগ সারিয়ে উঠে তিনি পুনরায় যোগ দেন কাজে।
জানা গিয়েছে, ওই ডাক্তারের নাম ডা. লরনা ব্রিন। তিনি ম্যানহাটানের নিউইয়র্ক-প্রেসবাইটেরিয়ান অ্যালেন হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ডিরেক্টর ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনি সপরিবারে ভার্জিনিয়ায় থাকতেন। কিন্তু গত রবিবার ৪৯ বছর বয়সী এই চিকিৎসক নিজের শরীরে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ। মেয়ের এই আচমকা মৃত্যুতে মূহ্যমান বাবা বলেছেন, ‘মেয়ের পেশাই ওর কাল হয়ে দাঁড়ালো। এছাড়া তাঁর মেয়ের কোনদিনই কোনও মানসিক অসুস্থতার ইতিহাস ছিল না।’
তিনি আরও জানান, শেষ যখন মেয়ের সঙ্গে কথা হয় তাঁর, তখন লরনা বলেন, হাসপাতালে সারে সারে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ম্যানহাটনের যে হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন লরনা, সেই ২০০ শয্যার হাসপাতালে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন করোনায়। চোখের সামনে এমন ভয়াবহতা সহ্য করতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি নিজেও তিনি করোনার সাথে লড়ে সুস্থ হয়েছেন। এক মুহূর্তের জন্যও তিনি ভেঙে পড়েননি। কিন্তু এই ঘটনা তাঁকে স্থির থাকতে দেয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লরনাকে ‘বীর যোদ্ধা’ বলে অভিহিত করেছেন।