আন্তর্জাতিক

সাংহাইয়ে হাহাকার! খাবার, পানীয় জল, ওষুধ না পেয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের, ‘আমরা খিদেতে মারা যাচ্ছি’, ভিডিও পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়

করোনা পরিস্থিতির কারণে চীনের সাংহাইতে চলছে লকডাউন। কিন্তু পরিস্থিতি দিনদিন আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে সেখানে। করোনার কারণে হাহাকার তো রয়েছেই, এরই মধ্যে প্রশাসনের গাফিলতির জেরে শহরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সেখানকার বাসিন্দারা কার্যত হিংস্র হয়ে উঠেছেন।

খাবারের জন্য হাহাকার তো রয়েইছে। এর পাশাপাশি পানীয় জল, পর্যাপ্ত ওষুধ না পাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। সম্প্রতি বিদেশী সাংবাদিক মাইকেল স্মিথ একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যাতে দেখা যাচ্ছে যে অসংখ্য সাংহাইবাসী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, করোনার কারণে ৫ই এপ্রিল পর্যন্ত চীনের সাংহাইতে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হয়। বর্তমানে সে শহরে খাবার থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট দেখা দিয়েছে। এর জেরে প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বাসিন্দারা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “আপনি কোথায় থাকেন তাতে কিছু যায় আসে না। আপনার কাছে কত টাকা আছে তাতেও না। আপনি বর্তমানে খেতে পারবেন কিনা বা কীভাবে জিনিসপত্র কিনতে পারবেন, তা নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত”।

চীনের সাংহাইয়ের পরিস্থিতি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত স্বেচ্ছাসেবীরাও খাবার পাচ্ছেন না ঠিকমতো। বর্তমানে তারা প্রশ্ন তুলেছেন, “যা খাবার পাঠানো হচ্ছে তা শুধুমাত্র কি সাংহাইয়ের মানুষের জন্য? আমরা যারা এই মহামারীর সঙ্গে লড়ছি, আমাদের জন্য কি কিছুই নেই”।

এরই মধ্যে একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে যাতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সাংহাইবাসীদের অভিযোগ করে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমরা খিদেতে মারা যাচ্ছি”। এমন অবস্থায় আবার স্থানীয়দের বারান্দাতেও না আসার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

করোনা মোকাবিলার জন্য চীন সরকার যে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার জেরে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সাংহাই শহরে খাদ্য সংকট এক বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সুপারমার্কেটগুলি ফাঁকা। ঠিকঠাক জিনিসপত্র ডেলিভারি দিচ্ছে না সরকার। খাবার না পেয়ে পুরনো সবজি, খাবার খেয়ে ফুড পয়জনিং হচ্ছে অনেকের। এও জানানো হয়েছে যে জল ঘরে ঘরে এসে পৌঁছচ্ছে, তা পানের অযোগ্য। এর জেরে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন শহরের আমজনতা।

Related Articles

Back to top button