করোনা প্রতিরোধে অ্যান্টিবডি আবিষ্কারের দাবি ইজরায়েল-এর।
রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে করোনা প্রতিরোধের বিভিন্ন পন্থা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে ইজরায়েলের বায়োলজিক্যাল ইনস্টিটিউটগুলো। তবে করোনা নিয়ে গবেষণার কোনও খবরই সামনে আনেনি তাঁরা। তবে কিছুদিন আগে কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে ইজরায়েলের বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল। তবে ওই প্রতিবেদনে কোভিড সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি তৈরীর খবর ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করলেও, এর প্রয়োগ কীভাবে হচ্ছে, ট্রায়াল হয়েছে কিনা সে বিষয়ে সবিস্তারে কিছু জানায়নি আইআইবিআর।
ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে ইজরায়েল ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল রিসার্চ (আইআইবিআর)। কোভিড পজিটিভ রোগীদের শরীরের কোষ নিয়ে এই অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়েছে। এটি করোনা প্রতিরোধের বড় হাতিয়ার হতে পারে। তবে এই অ্যান্টিবডি মানব শরীরে প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা করা এখনও হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করা হয়নি বিবৃতিতে।
গবেষকরা জানান, সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন এমন কোভিড রোগীর দেহকোষে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় সেটি থেকে ক্লোনিং করে কৃত্রিম উপায়ে এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ল্যাবরেটরিতে। এক্ষেত্রে একটি কোষ থেকে এমন অ্যান্ডিবডির ক্লোন করা হয়েছে।
আইআইবিআর জানিয়েছে, আক্রান্তের শরীরে যে ভাইরাল প্রোটিনগুলো ছড়িয়ে পড়তে থাকে তাকে নিষ্ক্রিয় করে দেবে এই অ্যান্টিবডি। শরীরে প্রবেশ করে ভাইরাসকে আক্রমণ করবে। সার্স-কভ-২ আরএনএ ভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরি করে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া থামিয়ে দেবে। ভাইরাল প্রোটিন কাজ করার ক্ষমতা হারালে আর কোষের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে সংক্রমণও থেমে যাবে।
আইআইবিআর’র পরিচালক শ্যামুয়েল শাপিরা জানিয়েছেন, এই অ্যান্টিবডি এখনও গবেষণার পর্যায়েই আছে। এর ফর্মুলা পেটেন্ট করা হবে।
ইজরায়েলের আরও একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিগভ্যাক্স জানিয়েছে, তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেই ভ্যাকসিন কী বা ট্রায়ালের রিপোর্ট সম্পর্কেও পরিপূর্ণ কোনও তথ্য জানা যায়নি।